• বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪২৯

আনন্দ বিনোদন

কথা রাখেননি শাকিব খান

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ মে ২০১৮

বিতর্ক এবং শাকিব খান। একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিষয়টি অস্বীকার করার উপায় নেই। নতুন করে আবার সে বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ঢাকাই চলচ্চিত্রাঙ্গনে। প্রসঙ্গ ‘ভাইজান এলো রে’।

পাঠক চলুন একটু ফ্ল্যাশব্যাকে। ২০১৫ সাল, হিন্দি-উর্দু ছবি বিনিময়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শাকিব খান। ২০১৬ সাল, ভারতীয় ছবির আমদানির বিরুদ্ধেও সোচ্চার এ সুপারস্টার। কাফনের কাপড় পরে রাজপথে শাকিব খান। ভারতীয় পরিচালক রাজা চন্দের ‘কেলোর কীর্তি’ ছবির আমদানি বন্ধ করার জন্য বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে মানববন্ধন করেছিলেন তিনি। সে মানববন্ধনে শাকিব খান বলেছিলেন, ‘আমরা কখনো ছবি বিনিময়ের পক্ষে ছিলাম না, এখনো নেই, ভবিষ্যতেও থাকব না।’ 

২০১৭ সাল, উল্টে গেলেন শাকিব খান। সব ভুলে নাম লেখালেন যৌথ প্রযোজনার ছবিতে। শ্রাবন্তীর বিপরীতে অভিনয় করলেন ‘শিকারি’ ছবিতে। তারপরের গল্পটা সবারই জানা। ২০১৮ সালে এসে পাল্টে গেলেন শাকিব খান। যার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন তার পক্ষেই সাফাই গাইছেন তিনি। অর্থাৎ সেই ‘বিনিময়’। আমি কি এদেশে নিষিদ্ধ? বিনিময় প্রথায় বাংলাদেশে আসা ‘চালবাজ’ ছবি মুক্তি প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রশ্ন করেছেন তিনি।

‘চালবাজ’ বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার পর নতুন চালাকি করে ‘ভাইজান এলো রে’ মুক্তি দেওয়ার ফন্দি করেছেন এসকে মুভিজের কর্ণধার অশোক ধানুকা। ছবির কাজ শেষ করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে নাম নিবন্ধন ও পরিচালনার অনুমতি চেয়েছেন ছবিটির পরিচালক জয়দেব মুখার্জি। আবেদনপত্র পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে পরিচালক সমিতি। কারণ, গণমাধ্যমের সূত্রে তারা জানতে পেরেছেন এ ছবির শুটিং শেষ।

ঢাকাই চলচ্চিত্রাঙ্গনের অনেকেই মনে করেন, যত অনিয়ম সবখানে খুঁজে পাওয়া যাবে শাকিব খানকে। শিল্পী হিসেবে তার কাজ শুধু অভিনয় করা। ছবি মুক্তির ব্যাপারে বাড়তি নাক গলানো তার কাজ নয়। তারপরও তিনি কেন গলান? কেন এসব অনিয়মে যান? সেটার উত্তর খুঁজে পান না বিজ্ঞরা। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন সেদিন দেশীয় একটি গণমাধ্যমে বলেই ফেলেছেন, ‘সব ক্যাচালে শাকিব খানকে পাওয়া যায়’।

জালিয়াতির কারণে আটকে যাচ্ছে ‘ভাইজান এলো রে’। গতকাল বাংলাদেশের খবরকে এমনটাই জানিয়েছেন বদিউল আলম খোকন। তিনি বলেন, ‘ছবিটি কোনোভাবেই বাংলাদেশে মুক্তি পাবে না। কারণ, জয়দীপ পরিচালক সমিতির সদস্য নয়। সমিতির সংবিধানে বলা আছে— কেউ যদি একটি মিথ্যা তথ্য দেয় তাহলে তার সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে। আর এখানে জয়দীপ পুরো তথ্যই মিথ্যা দিয়েছে। তাই এটার অনুমতি দেওয়া অসম্ভব।’

‘ভাইজান এলো রে’ ছবির নিয়ম ভঙ্গের প্রমাণ আছে পরিচালক সমিতির কাছে। তাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে— অনিয়মের অভিযোগে আটকে যাবে ছবিটি। সব মিলিয়ে, ‘ভাইজান’র ভাগ্য বাংলাদেশ এখনো পরিষ্কার নয়। আর পরিষ্কার হওয়ার কোনো রাস্তাও দেখছেন না কেউ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads