• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
নাটকে হুমায়ূনীয় প্রভাব

কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ

সংরক্ষিত ছবি

আনন্দ বিনোদন

নাটকে হুমায়ূনীয় প্রভাব

  • সোহেল অটল
  • প্রকাশিত ১৯ জুলাই ২০১৮

ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ সাধারণের কাছে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়ার আগেই নাট্যকার হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়ে যান। ১৯৮৩ সালে তার লেখা ‘প্রথম প্রহর’ নাটকটি প্রচার হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে। নওয়াজেশ আলী খান ছিলেন সে নাটকের পরিচালক। তারপর এই জুটি মিলে দর্শকনন্দিত অনেক নাটক উপহার দেন।

বিটিভি যুগের একক রাজত্ব শেষে দেশে যখন একাধিক স্যাটেলাইট চ্যানেলের আবির্ভাব হলো, হুমায়ূন আহমেদ তখন ঔপন্যাসিক হিসেবে দেশজুড়ে সমাদৃত। তাতে নাটক থেকে সরে আসেননি তিনি। বরং এবার মনোযোগী হলেন নির্মাণে। হুমায়ূন আহমেদের নাটক নির্মাণের স্বতন্ত্র স্টাইল ছিল। তার নাটকের দর্শকমাত্রই তা জানেন।

নাটক নির্মাণের আগেই অবশ্য হুমায়ূন আহমেদ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া তার নির্মিত ‘শঙ্খনীল কারাগার’ দর্শকমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। তিনি একে একে নির্মাণ করেন ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারি’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শ্যামল ছায়া’ ইত্যাদি চলচ্চিত্র।

নাটক কিংবা চলচ্চিত্র, হুমায়ূন আহমেদের নির্মাণের একটা আলাদা ভাষা ছিল। দর্শক দেখেই বুঝতে পারতেন এটা হুমায়ূন আহমেদের নির্মিত। এমনকি গীতিকার হুমায়ূন আহমেদেরও এমন স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দাঁড়িয়ে গিয়েছিল।

হুমায়ূন আহমেদের জীবদ্দশাতেই তার স্টাইল অনুসরণ করতে শুরু করেন নতুন প্রজন্মের নির্মাতারা। জনপ্রিয়তা ও সময়োপযোগিতা বিবেচনা করে কেউ কেউ সরাসরি হুমায়ূন আহমেদের নাটকের মতো করে ডায়ালগ তৈরি করতে থাকেন, নির্মাণ করতে থাকেন।

২০১২ সালে ক্যানসারের কাছে হেরে যান হুমায়ূন আহমেদ। ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আজ ছয় বছর হলো তিনি লোকান্তরে। গত ছয় বছরে কোনো নাটক তিনি নির্মাণ করেননি। কোনো ডায়ালগ লেখেননি। তবুও দেশের নাট্যাঙ্গনে তুমুলভাবে হুমায়ূন আহমেদ বিরাজমান। তাকে দেখে যে প্রজন্ম নাটক নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন, তারাই আজ বাঁচিয়ে রেখেছেন হুমায়ূন আহমেদকে। এখনো তাই নাটকে হুমায়ূনীয় প্রভাব বিরাজমান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads