ঢালিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। না, একেবারে নয়, একমাত্র ছেলে আইজান নেহানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দিন দশেক আগে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গিয়েছেন শাবনূর। সেখানে তিনি তার ছেলের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে মাস তিনেক পর দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
ছেলেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবেই গড়তে চান শাবনূর। তিনি চান তার ছেলে আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক। সে জন্যই তিনি এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী অনিক মাহমুদকে ২০১১ সালে বিয়ে করেন শাবনূর। বিয়ের দুই বছরের মাথায় স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস শুরু করেন তিনি। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তাদের ছেলের জন্ম হয়।
নব্বই পরবর্তী বাংলা চলচ্চিত্রের সফল নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম শাবনূর। স্নিগ্ধ চেহারা, মায়াবী হাসি, চিরায়ত বাঙালি নারীর মধুমাখা চাহনি আর প্রাণবন্ত অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি খুব দ্রুতই চলচ্চিত্রে স্থায়ী আসন করে নেন।
একটা সময় ছিল শাবনূর মানেই সুপারহিট চলচ্চিত্র। শাবনূর মানেই দর্শকের সেরা পছন্দ। ভালোবেসে অনেকেই শাবনূরকে ঢাকাই ছবির রানী বলে ডাকেন। শাবনূরের প্রথম চলচ্চিত্র কিংবদন্তি পরিচালক এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’। ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর ‘চাঁদনী রাতে’ মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়। তবে শাবনূরের মুগ্ধতার ইতিহাস শুরু হয় ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জহিরুল হক পরিচালিত ‘তুমি আমার’ ছবিটি দিয়ে। সালমান শাহের সঙ্গে জুটি বেঁধে এই নায়িকা ১৪টি ছবি করেন। তার সবগুলোই রেকর্ড সংখ্যকভাবে ব্যবসায়িক সাফল্য পায়। এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সফল জুটিগুলোর অন্যতম।
পরবর্তীতে এদের আদর্শ মেনেই এখানে নায়ক-নায়িকার জুটি গড়ে উঠেছে। তবে সালমানের যুগে ওমর সানী, অমিত হাসান, আমিন খান, বাপ্পারাজদের সঙ্গেও অভিনয় করে সফলতা পান শাবনূর। রিয়াজের সঙ্গে প্রায় অর্ধশত চলচ্চিত্রে জুটি বাঁধেন তিনি এবং সবগুলো ছবিই ছিল ব্যবসায়িকভাবে সফল এবং আলোচিত।
দীর্ঘ অভিনয় জীবনে শাবনূরের সবচেয়ে বড় অর্জন ভক্ত-দর্শকের ভালোবাসা। পাশাপাশি অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এ ছাড়া পেয়েছেন বাচসাস পুরস্কার ও সর্বাধিক ১০ বার মেরিল- প্রথম আলো পুরস্কার।
শাবনূর সর্বশেষ মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘এত প্রেম এত মায়া’ নামে একটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। যদিও এখনো ছবিটির শুটিং শেষ হয়নি। নব্বই দশকের নায়িকা শাবনূর সর্বশেষ ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন ২০১৫ সালে। ছবির নাম ‘পাগল মানুষ’।
এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন নবাগত শাহেদ চৌধুরী।
