• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯

আনন্দ বিনোদন

নারী দিবসের ফ্যাশন আইকন

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ মার্চ ২০১৯

ছিয়াত্তর পার করছেন অভিনেত্রী দিলারা জামান। সাতাত্তরে পড়বেন জুন মাসে। কিন্তু তার পোশাক দেখে কি তাই মনে হয়? এখনো গ্ল্যামার যেন দ্যুতি ছাড়াচ্ছে। চোখধাঁধানো ওয়েস্টার্ন লুকে অন্যরকম হয়ে দেখা দিয়েছেন তিনি।

এখনকার সময়ে কম বয়সী মডেলরা যেখানে প্রচ্ছদে স্থান পান সেখানে এই বয়সে তিনি হলেন প্রচ্ছদকন্যা! লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ‘আইস টুডে’র মার্চ সংখ্যার প্রচ্ছদে ওয়েস্টার্ন লুকে প্রকাশিত হয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী দিলারা জামানের ছবি, যা প্রকাশের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

জমকালো পোশাক, ছিমছাম মেকআপ, গাঢ় লিপস্টিকে পুরোপুরি ওয়েস্টার্ন লুকে দিলারা জামানকে ‘অসাধারণ লাগছে’ প্রচ্ছদে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্টগুলো তো এ কথায় বার বার ঘুরেফিরে এসেছে। প্রচ্ছদে দেখা যাচ্ছে, তিনি পরেছেন ফ্যাশন হাউজ জুরহেমের স্যুট-প্যান্ট। তার মেকআপ ও হেয়ার স্টাইল করা হয়েছে আউরা বিউটি লঞ্জে। গলায় মুক্তার মালা ও কানে হীরার দুল এবং কাটিং চুলে অনবদ্য লাগছে।

এ বিষয়ে দিলারা জামান বলেন, ‘গেল মাসের ২০ তারিখে ফটোশুট হয়। ফটোশুটের ধারণা এবং নির্দেশনা গৌতম সাহার। এছাড়া ফটোগ্রাফে ছিলেন রিয়াদ আশরাফ, ফ্যাশন কো-অর্ডিনেটরে আসিফ সোলায়মান।’

এমন লুকে বেশ উচ্ছ্বসিত দিলারা। তিনি জানান, আইস টুডে তাকে তাদের অফিসে ডেকে শুভেচ্ছা দিয়েছে, ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেছে। খুব প্রশংসা করেছে তারা। তিনিও কাজটি খুব এনজয় করেছেন।

এর আগে ২০১৭ সালে আইস টুডের আগস্টের ‘ওয়ার্ক অব আর্ট’ সংখ্যাটিও বেশ আলোড়ন ফেলে। সেই ফটোশুটে দিলারা জামান ছাড়াও ছিলেন সারা যাকের, শম্পা রেজা, শামীম খান ও শারমিন লাকী।

আজ ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে দিলারা জামান বলেন, ‘আমি তো মনে করি অনেক মেয়ে এখনো স্বাবলম্বী হয়নি। প্রভাবশালীদের কারণে অনেক মেয়েকে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। গ্রামে এখনো অনেক মেয়ের কম বয়সে বিয়ে হচ্ছে। অনেকে স্কুলেও যেতে পারে না অনেক কারণেই। তবে এটা ঠিক, আগের থেকে নারীরা এগিয়ে গেছে। সামনে চলার সুগম পথ নিজেরাই সংগ্রাম করে তৈরি করে নিচ্ছে। এসব দেখতে কিন্তু ভালোই লাগে।’

জীবনের অর্জন নিয়ে কোনো আফসোস নেই দিলারা জামানের। বলেন, ‘যেসব চরিত্রে অভিনয় করতে ভালো লাগে, তা করেছি। মানুষের মনে ঠাঁই পাওয়াটা চাওয়া ছিল। মানুষ ভালোবাসা দিচ্ছে, এটাতেই আনন্দ। আর জীবন নিয়ে এখন ভাবার সময় কই? ট্রেনের টিকেট কাটা হয়ে গেছে। জীবন স্টেশনে শেষ ট্রেন থামামাত্রই উঠতে হবে। সেই অপেক্ষায় আছি।’

নিজের উদ্যমী ভাবনা, চেতনার বিকাশ, পরিবারের সহযোগিতায় শিল্পের চর্চাটাকে ধারণ করেছেন। এখনো তার সেই চর্চার বিকাশে জীবন্ত চরিত্রগুলো খেলা করে।

তার সাফল্যের গাথা নিয়ে বলতে গেলে ১৯৯২ সালে একুশে পদক গ্রহণ, ২০০৮ সালে ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ছবির জন্য জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার অর্জনের বাইরেও দর্শক মনের যে ভালোবাসা পেয়েছেন সেটাকেই তিনি তার সাধনার পুরস্কার হিসেবে আগলে রেখেছেন। শিল্পীময়ী ব্যক্তিত্ব দিলারা জামান- তার জীবনের সাফল্যের বাণী বহমান আর আকাশতুল্য।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads