নিজ জন্মস্থান ময়মনসিংহে বেশ কিছু দিন সময় নিয়ে ঘুরে গেলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ও ভারতের গজল সম্রাজ্ঞী মিতালী মুখার্জি। তবে ময়মনসিংহে যাওয়ার আগে তিনি পুলিশ সপ্তাহের বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সে অনুষ্ঠানে মিতালী মুখার্জি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সুযোগ পান। প্রধানমন্ত্রী মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে আশীর্বাদ করেন। আর সেই আশীর্বাদকে সঙ্গে নিয়েই মিতালী মুখার্জি ফিরে গেলেন তার বর্তমান আবাসস্থল ভারতে।
সেখানে ফিরে গেলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেই মুহূর্তের স্মৃতি আজীবনের জন্য নিজের মনের মধ্যে গেথে রেখে দিয়েছেন মিতালী মুখার্জি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ সেই মুহূর্ত প্রসঙ্গে মুঠোফোনে ভারত থেকে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মিতালী মুখার্জি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এত মায়া, এত মমতা, এত ভালোবাসা বিদ্যমান তা আমি নিজেও সেদিন উপলব্ধি করেছি। শিল্প, সাহিত্য তথা সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষের প্রতি তার যে অপরিসীম ভালোবাসা, সে দৃষ্টান্ত তো নানা সময়ে পেয়েছে দেশবাসী, আমিও দেখেছি। তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে যখন তিনি আমার মাথায় হাত রাখলেন আমার কাছে তা যেন পুষ্পাঞ্জলির মতো মনে হলো। সেই সময় তিনি যে মায়া দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন, কথা বললেন- সেই ভালোবাসা আমি যতদিন বেঁচে থাকব কোনোভাবেই তা ভুলব না। মানুষের প্রতি ভালোবাসা দিয়ে, মায়া দিয়ে তিনি সারা বিশ্বে একজন অবিশ্বাস্য রকমের উদাহরণ হয়ে উঠেছেন।’
মিতালী মুখার্জি ফিরে যাওয়ার আগে এবার বেশ কিছু দিন নিজের জন্মস্থান ময়মনসিংহে কাটিয়ে গেলেন। তার বাবা যে পুলিশ স্টেশনে চাকরির সময়কালটাতে ছিলেন সেখানে গিয়ে অনেক আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন। ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার তাকে সংবর্ধনাও জানান।
মিতালী মুখার্জি বলেন, ‘আজ আমার বাবা-মা নেই এটা সত্যি। কিন্তু এবার বহুকাল পর ময়মনসিংহে গিয়ে আমার মনে হলো রক্তের সম্পর্কই সব নয়, এর বাইরেও কিছু সম্পর্ক থেকে যায়, যে সম্পর্কগুলো আত্মার সম্পর্ক। সেই আত্মার সম্পর্কের মানুষগুলোর সঙ্গে সময় কাটিয়ে আমি দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বর্তমান আবাসস্থলে ফিরে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, আবার ময়মনসিংহে গেলে আমি বেশ ভালোভাবেই সময় কাটাতে পারব।’
মিতালী মুখার্জি সবশেষ চ্যানেল আইয়ের সেরা কণ্ঠের বিচারক হিসেবে কাজ করেন বাংলাদেশে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ‘পুলিশ সপ্তাহ’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনও করেন তিনি।
