• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
ইউরিন ইনফেকশ, ভুক্তভোগী যখন নারীরাই বেশি

মেয়েরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় এই অসুখে

সংগৃহীত ছবি

ফিচার

ইউরিন ইনফেকশ, ভুক্তভোগী যখন নারীরাই বেশি

  • প্রকাশিত ১৬ আগস্ট ২০১৮

ডা. আলিফা জাহান

ঘরে-বাইরে, পার্সোনাল-প্রফেশনাল সব ক্ষেত্রেই মেয়েরা আজ দুর্নিবার, অগ্রগামী, পরিশ্রমী।  কিন্তু ব্যাপারটা যখন নিজের শরীর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আসে তখন তারা তেমনই বেখেয়ালি। এই কারণে মেয়েদের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই থাকে অবহেলিত। এরকম একটা বিষয় হচ্ছে ইউরিন বা প্রস্রাবের ইনফেকশন। সারা পৃথিবীতেই মেয়েরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় এই অসুখে। এর বিভিন্নরকম কারণ রয়েছে-

* সারা দিনের কাজের চাপে সময়মতো বাথরুমে যাওয়া হয়ে ওঠে না মেয়েদের। বিশেষ করে কর্মজীবী মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রাইভেসি একটা বড় ফ্যাক্টর। আবার ছাত্রদের ক্ষেত্রেও দেখা যায় সারা দিনের ক্লাস আর কোচিংয়ের চাপে বাথরুম চেপে রাখার একটা প্রবণতা তৈরি হয়।

* প্রতিদিন দেখা যায় পানি খাওয়ার পরিমাণ অনেক কম বেশিরভাগ মেয়েদের।

* আবার মাসিকের সময় সময়মতো প্যাড পরিবর্তন না করাও একটা কারণ।

* আর যাদের ডায়াবেটিস থাকে বিশেষ করে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের রোগীদের প্রস্রাবের ইনফেকশের রিস্ক অনেক বেশি।

এখন বুঝার উপায় কি যে প্রস্রাবের ইনফেকশন হয়েছে? প্রথম ও প্রধান সিম্পটম থাকে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া এবং প্রচণ্ড জ্বর। তবে অনেক সময় জ্বর তেমন নাও থাকতে পারে। তা ছাড়া তলপেটে ব্যথা, বমি এগুলোও থাকতে পারে। আর অবহেলা করলে এই ইনফেকশন মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে, যেমন রেনাল ফেইলিওরও হতে পারে। তাই এসব সিম্পটমকে অবেহলা করা যাবে না। অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

এর থেকে বাঁচার উপায় কী? এই ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

* প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৩ লিটার বা ৭-৮ গ্লাস পানি খেতে হবে।

* প্রস্রাব আটকে রাখা যাবে না।

* হাইজিন বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে।

* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

* কিছু খাবার আছে যেগুলো প্রস্রাবের এই ইনফেকশনের হার অনেকাংশে কমিয়ে দিতে পারে। যেমন : লেবু, শসা, আপেল, কালোজামের স্যুপ ইত্যাদি।

* সিম্পটম দেখা দিলে অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

বিশেষ করে যাদের বারবার ইউরিন ইনফেকশন হয় তাদের অবশ্যই উপরের নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে এবং সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে। অনেকেই আমরা ডাক্তারের দেওয়া প্রেসক্রিপশনের কোর্স সম্পন্ন করি না, যা কোনোভাবেই করা উচিত নয়। এতে পরবর্তী সময়ে ওই ওষুধের কার্যকারিতা থাকে না। তাই এ ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে।

লেখক : আরএমও(ইন্টারনাল মেডিসিন), হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads