• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়নের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংগৃহীত ছবি

সরকার

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়নের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তির দ্রুত ও কার্যকরী বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের ৭৩ তম অধিবেশনের বিতর্কপর্বে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে জাতিসংঘ ও মিয়ানমারের মধ্যকার চুক্তির বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের উৎপত্তি মিয়ানমার থেকে শুরু হয়েছে, এর সমাধানের পথও মিয়ানমার থেকে খুঁজে বের করতে হবে। আমরা জাতিসংঘ ও মিয়ানমারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তির অবিলম্বে ও কার্যকরী বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আমরা চাই, রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক। মানুষ হিসেবে আমরা রোহিঙ্গাদের দুর্দশার ব্যাপারে চুপ থাকতে পারি না, একে এড়াতেও পারি না।’

মিয়ানমার কথা দিয়ে কথা রাখে না বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবসময় মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রশ্নে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু বাস্তবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কোনো ভূমিকা পালন করে না।’

মিয়ানমারের আচরণ বাংলাদেশকে হতাশ করছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ার জন্য মিয়ানমারকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তরিক প্রচেষ্টার পরও এখন পর্যন্ত স্থায়ী ও টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি।’

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়। গত ৬ জুন নেপিদোতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মধ্যেও সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার।

সাধারণ অধিবেশনে উপস্থিত বিশ্বনেতাদেরকে প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে। তারা অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে আছে, যদিও তাদের ভালো রাখার জন্য বাংলাদেশ সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তাদের জন্য খাবার, কাপড়-চোপড়, স্বাস্থ্যসুরক্ষা, শিশু যত্ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করায় এবং তাদেরকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেওয়ায় জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ওআইসিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads