• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
২৪-২৬ অক্টোবর নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ-ভারত নৌ-সচিব পর্যায়ের বৈঠক

সংগৃহীত ছবি

সরকার

২৪-২৬ অক্টোবর নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ-ভারত নৌ-সচিব পর্যায়ের বৈঠক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৩ অক্টোবর ২০১৮

বাংলাদেশ-ভারত নৌ-সচিব পর্যায়ের বৈঠক আগামী ২৪-২৬ অক্টোবর নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত হবে।  বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ।  বৈঠকে অংশ নিতে নৌ-পরিবহন সচিবের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লীর উদ্দেশে আজ মঙ্গলবার ঢাকা ত্যাগ করেছে।

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের নৌখাত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে যাত্রী ও পর্যটকবাহী ক্রুজ (জাহাজ) চলাচল সংক্রান্ত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি), নৌপথে পণ্য চলাচল সুবিধার জন্য প্রচলিত প্রটোকল ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি)-এ প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য পরিবহন বিষয়ে চুক্তি সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নৌ বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ১৯৭২ সালের ১ নভেম্বর প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট এন্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) স্বাক্ষরিত হয় এবং নৌ বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্নভাবে চলমান থাকে। ওই প্রটোকলের মেয়াদ ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ উত্তীর্ণ হলে ২০১৫ সালের ৬ জুন পুনরায় পিআইডব্লিউটিটি সই হয়।

২০১৫ সালের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে- কোস্টাল শিপিং বিষয়ক চুক্তি, প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) এবং চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত চুক্তি বা প্রটোকল বা সমঝোতা স্মারকপত্র সই হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে- বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল রুটের সিরাজগঞ্জ-দৈখাওয়া এবং আশুগঞ্জ-জকিগঞ্জ রুট উন্নয়ন; কোস্টাল এবং প্রটোকল রুটে যাত্রী ও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল এবং দু’দেশের মধ্যে নেভিগেশন সহায়ক সহযোগিতা সংক্রান্ত তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।।

প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মনোজ কান্তি বড়াল, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো: জাফর আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এ এইচ এম আহসান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মো: মোশারফ হোসেইন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্য (পরিকল্পনা ও অপারেশন) মো: শহীদুল ইসলাম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো: মহিদুল ইসলাম, উপসচিব এ টি এম মোনেমুল হক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) রিয়াদ হোসেইন এবং উইন শিপ কোম্পানির স্বত্ত্বাধিকারি সৈয়দ বশির আহমেদ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads