• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
২০২০ সালের আগেই দেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি : সংগৃহীত

সরকার

২০২০ সালের আগেই দেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে

  • পটুয়াখালী, বরগুনা ও বেতাগী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ অক্টোবর ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, সরকার ১০ বছরে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আগেই বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ওই সময়ে বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। কোনো মানুষ রোগে ধুঁকে মরবে না। তারা চিকিৎসা পাবে। প্রতিটি ছেলেমেয়ে স্কুলে যাবে, লেখাপড়া শিখবে এবং উচ্চশিক্ষায় সুশিক্ষিত হবে। গতকাল শনিবার বিকালে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনর্বাসন প্রকল্প উদ্বোধন এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র্র পরিদর্শন শেষে সমবেত শ্রমিকদের সামনে বিদ্যুৎকেন্দ্র চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বপ্নের ঠিকানা নামে এ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের জন্য নবনির্মিত ঘরগুলো পরিদর্শন এবং পুনর্বাসিত পরিবারের কাছে ঘরের চাবি ও রেজিস্ট্রেশন পেপার হস্তান্তর করেন। পুনর্বাসন কেন্দ্রের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত এবং গাছের চারা রোপণ করেন। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমেদ কায়কাউস এবং প্রকল্প পরিচালক প্লান্টের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। শেখ হাসিনা প্রকল্প শেষ করার জন্য যারা দিনরাত কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়নিজ সিএমসি কোম্পানি যৌথভাবে অত্যাধুনিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্তমান উৎপাদন সক্ষমতা ১৪৯৭ মেগাওয়াট এবং ভবিষ্যতে উৎপাদন ৬১৩০ মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২৫ সাল নাগাদ ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

একই অনুষ্ঠানে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র্র থেকে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালী জেলার ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। প্রকল্পগুলো হলো- পটুয়াখালী সরকারি কলেজের পাঁচতলা গার্লস হোস্টেল এবং একাডেমিক কাম-পরীক্ষা হল নির্মাণকাজ, হাজী আক্কেল আলী হাওলাদার কলেজের চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ইসহাক মডেল ডিগ্রি কলেজ, কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজ, মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজ, আলহাজ জালাল উদ্দিন কলেজ, সুবিদখালী ডিগ্রি এবং দুমকি জনতা ডিগ্রি কলেজের চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, দুমকি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন, মির্জাগঞ্জ ৩৩/১ কেভি বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন, পায়রা বন্দর ও সার্ভিস জেটির মধ্যে শেখ হাসিনা সড়ক, মসজিদ, পায়রা বন্দরে অফিসার্স গেস্ট হাউজ এবং ডরমেটরি উদ্বোধন করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালী সরকারি কলেজের পাঁচতলা বিজ্ঞান ভবন, শ্রীমান্ত নদীতে ৯৬ মিটার সেতু, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (তৃতীয় পর্ব) প্রকল্পের আওতায় দুটি কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র্র এবং পায়রা বন্দর প্রকল্পের জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এলাকার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে উপকূলীয় পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় দিনব্যাপী এক সফরে আসেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বরগুনা জেলা পরিদর্শন করেন এবং তালতলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে ২১টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মুক্ত করেন। পরে তিনি তালতলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসমাবেশে ভাষণ দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads