• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪২৯
পুলিশকে জনবান্ধব হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংগৃহীত ছবি

সরকার

পুলিশকে জনবান্ধব হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পুলিশ সদস্যদের দেশপ্রেমের সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের জনবান্ধব হতে হবে।

তিনি বলেন, পুলিশকে জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

পুলিশ সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে  ভাষণ দেন। খবর ইউএনবির।

প্রধানমন্ত্রী অপরাধ দমনে পুলিশের তদন্ত সঠিকভাবে করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মামলা পরিচালনায় কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

শেখ হাসিনা যথাসময়ে মামলার অভিযোগপত্র জমা ও সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের সফলতার ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি এসবের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার বিষয়ে জোর দেন।

এ বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুলিশের অবশ্যই বিশেষ কৌশল থাকতে হবে এবং তাদের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে।

‘পুলিশকে মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ দুর্নীতি অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, আর মাদক একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়,’ বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পুলিশ সদস্যদের এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে সব নাগরিক তাদের জীবনের নিরাপত্তা পায়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তিনি বলেন, নিরীহ জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার সংরক্ষণ করতে এ আইন করা হয়েছে।

তিনি পুলিশ সদস্যদের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অপরাধীদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করার তাগিদ দেন।

প্রধানমন্ত্রী পুলিশের যথাযথ প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেন এবং বলেন, সরকার ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে, যেখানে বিশেষায়িত শিল্প পুলিশ কাজ করবে।

তিনি শিল্প পুলিশের পাশাপাশি নৌ পুলিশ, বিমানবন্দর পুলিশ ও ট্যুরিজম পুলিশের মতো বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিটগুলোকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, অপরাধীদের কাজের ধরন বিবেচনায় নিয়ে পুলিশ সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশকে সক্ষম করে তোলার জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের তাগিদ দেন তিনি।

পুলিশের জন্য একটি বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পুলিশকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান এবং বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতির গল্প এখনও শেষ হয়নি।

পুলিশ বাহিনীতে জনশক্তি বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, জনগণ যাতে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পায় সে জন্য পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে আরও জনশক্তি যোগ করা হবে।

পুলিশের বিভিন্ন দাবি নিয়ে আলাপকালে শেখ হাসিনা বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাদ ও মিশনে পুলিশ সদস্যদের পোস্টিং দেয়ার ইস্যুটি দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে মধ্যম-আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন ও অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান।

এছাড়া, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-হাইওয়ে) আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম, উপকমিশনার (তেজগাঁও জোন) বিপ্লব কুমার ও রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি এ সময় বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads