• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
“ইউনেস্কো যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংগৃহীত ছবি

সরকার

“ইউনেস্কো যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে”

  • প্রকাশিত ১৫ জানুয়ারি ২০২০

ইউনেস্কো বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে বলে সংসদকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন: বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্য এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দাওয়াত দেয়া হবে, তারা বক্তৃতা করবেন।

বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে সরকার দলীয় সাংসদ এ কে এম রহমতুল্লাহ ও আব্দুস সালাম মূর্শেদীর দুই প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এ তথ্য জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: ২৯৮টি কর্মসূচির মাধ্যমে সারাবিশ্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে। ইউনেস্কো ২০২০ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এরমধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিঃসন্দেহে আরও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি আরও জানান: বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি’ ও ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’ নামে দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির অধীনে আটটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রস্তাবসমূহ যাচাই-বাছাইয়ের পর সারা বছর দেশে ও বিদেশে মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনায় বর্তমানে ২৯৮টি কর্মসূচি রয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি দপ্তর সংস্থা প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তি হতে অসংখ্য প্রস্তাব পাওয়া গেলেও বাস্তবায়নের সুবিধার্থে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনায় ২৯৮টি কর্মসূচিতে সীমিত রাখা হয়েছে বলে সংসদকে জানান তিনি।

মুজিববর্ষের সূচনা সম্পর্কে বিস্তারিত এসময় তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি বলেন: আগামী ১৭ মার্চ হতে ২০২০ সালের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এক বর্ণাঢ্য উৎসবমুখর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বছরব্যাপী কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে আগামী ১৭ মার্চ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনি ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচীর উদ্বোধন হবে। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিশেষ প্রার্থনা, জেলা-উপজেলায় বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে নেওয়াসহ নানা আয়োজনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহ ও তৃণমূলের জনগণকে একসূত্রে নিয়ে আসতে চায় সরকার বলে জানান তিনি।

এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু নির্বাচিত ভাষণ’ ইংরেজি ছাড়াও হিন্দি, উর্দু, ফরাসি, জার্মান, চাইনিজ, আরবি, ফারসি, স্প্যানিশ, ইতালিয়ান, কোরিয়ান ও জাপানি-এই ১২টি ভাষায় অনুবাদ ও প্রকাশ করা হবে বলে সংসদকে জানান সংসদ নেতা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads