ঢাকা শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত বায়ু সাভারে। ঢাকা শহরে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (বায়ুমান মানমাত্রা) ১১৫ হলেও সাভারে এর পরিমাণ ১৩৫। ঢাকার চেয়ে বেশি বায়ু দূষণকারী শহর হলো রংপুর। এ শহরে বায়ুমান মানমাত্রা ১২৮। অবিশ্বাস্য মনে হলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান মানমাত্রা মনিটরিং স্টেশন সূত্রে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইড, লেড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ও প্রলম্বিত বস্তুকণার কারণে বায়ু দূষিত হয়। বিভিন্ন শহরের মধ্যে বায়ুমান মানমাত্রা চট্টগ্রামে ৩৫, গাজীপুর ৮৩, নারায়ণগঞ্জ ৮৫, সিলেট ৩৯, বরিশাল ৩৯, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা ২৭। দূষক প্যারামিটার পিএম ২ দশমিক ৫ ধরে এ হিসাব করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহাম্মদ জানান, বায়ুমান মনিটরিংয়ের জন্য রাজধানীসহ সারা দেশে ১৬টি স্টেশন চালু রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৪টি (ফার্মগেট, সংসদ ভবন, দারুস সালাম ও সাভার), চট্টগ্রামে ২টি; খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রংপুর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও নরসিংদীতে ১টি করে সার্বক্ষণিক বায়ু মনিটরিং স্টেশন রয়েছে।
বায়ুমান মাত্রার পরিমাণ শূন্য থেকে ৫০ হলে ভালো, ৫১ থেকে ১০০ হলে মধ্যম, ১০১ থেকে ১৫০ হলে সাবধানতা/সতর্কীকরণ, ১৫১ থেকে ২০০ হলে অস্বাস্থ্যকর, ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুব অস্বাস্থ্যকর ও ৩০১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এ হিসাবে ঢাকা, সাভার এবং রংপুর শহরে স্বাস্থ্যগত উদ্বেগের স্থান সাবধানতা/সতর্কীকরণ লেবেলে রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ মধ্যম। স্বাস্থ্য উদ্বেগ সবচেয়ে কম কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ কমের শহরের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল। বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়ুদূষণের ফলে মানুষের শ্বাসযন্ত্র, হূদরোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিস বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি হয়। বাযুদূষণ মাতৃগর্ভে ভ্রূণের ক্ষতিসাধনসহ শিশুর বুদ্ধিমত্তা বিকাশও ব্যাহত করে।