• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
বিপ্লব উদ্যান: চুক্তির শর্ত লংঘন, সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পার্কের দোকান

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

মহানগর

বিপ্লব উদ্যান: চুক্তির শর্ত লংঘন, সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পার্কের দোকান

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২৫ আগস্ট ২০২০

চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমে নির্মিত দোকানের বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে ফেলা হবে একই সাথে চুক্তি লংঘিত হওয়ায় এর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধের নির্দেশ দিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

আজ বিকেলে টাইগারপাস অস্থায়ী কার্যালয় থেকে স্কুটিযোগে তিনি নগরীর ২ নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন ও গণশুনানীকালে প্রশাসক এই নির্দেশনা দেন।

যাত্রাপথে তিনি রাস্তায় গর্ত দেখে সেগুলো দ্রুত ভরাট করার জন্য প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেন। এছাড়া ২নং গেইট কবরস্থানের পাশে বালির স্তুপ দেখে আজকের মধ্যেই অপসারণ করার জন্য পরিচ্ছন্নতা বিভাগকে নির্দেশনা দেন। তাছাড়া ২নং গেইটের পাশে মসজিদ গলিতে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য প্রকল্প পরিচালককে অনুরোধ করেন।

চসিত প্রশাসক বলেন, চুক্তিতে ১৫০ বর্গফুটের দোকান করার কথা থাকলেও প্রতিটি দোকান ২শ বর্গফুটে বর্ধিত করা হয়েছে। জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা সংকুচিত করে দোকানের সিট বসানো হয়েছে। এছাড়াও চুক্তির শর্ত লংঘন করে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে দোকান বসানো হয়েছে-যা চসিকের সাথে সম্পুর্ণরূপে চুক্তির বরখেলাপ করা হয়। বর্তমানে পার্কটিতে কোন প্রকার প্রাকৃতিক পরিবেশ নেই।

এসব অনিয়ম ও অসঙ্গতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চুক্তির বাইরে গিয়ে কিংবা ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক চিন্তা ভাবনায় এই কাজ করতে দেয়া যায় না। এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী ও চসিকের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীগণ চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পাদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। উভয় পক্ষ যতদিন সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারবে না ততদিন এই অবৈধ দোকান বন্ধ থাকবে। অন্যথায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, চসিকের সকল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শুধুমাত্র নগরবাসীর স্বার্থে। চসিকের সৌন্দর্যবর্ধন ও নগরায়নে জনগণের স্বার্থ রক্ষা প্রথমে করতে হবে। শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থে কোন কিছু করার সুযোগ নেই। কেউ যদি নগরবাসীর স্বার্থের বিপরীত কর্ম সম্পাদনে লিপ্ত হয় তাদের আজকের এই কর্মসূচী থেকে সাবধান হওয়া উচিত।

এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুফিদুল আলম, প্রকৌশলী আলী আশরাফ, প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি এ কে এম রেজাউল করিম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, রিফর্ম লি. ও স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্ট এর স্বত্বাধিকার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিপ্লব উদ্যান সৌন্দর্যবর্ধন কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads