• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
ক্রেতাশূন্য কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট পল্লী

ছবি: বাংলাদেশের খবর

মহানগর

ক্রেতাশূন্য কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট পল্লী

  • এরশাদ হোসেন, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)
  • প্রকাশিত ০৬ মে ২০২১

দেশের সর্ববৃহৎ তৈরি পোশাক মার্কেট কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট পল্লী এখন ক্রেতাশূন্য। দেশের এ বৃহৎ তৈরি পোশাকের শতকরা ৮০ ভাগ চাহিদা মিটিয়ে থাকে কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গার্মেন্ট পল্লী। ঈদ, পূজা, শীতকে কেন্দ্র করে এখানকার সারা বছরের ব্যবসা হলেও ঈদ মৌসুম এখানকার ব্যবসায়ীদের মূল ভরসা। তবে চলমান দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞায় ভেস্তে গেছে এবারের ঈদ মৌসুমের ব্যবসা। গত বছরের লোকসানের ধাক্কা কাটিয়ে না উঠতেই আবার বিশাল অঙ্কের লোকসানের আশঙ্কা করছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।

তৈরি পোশাকের সর্ববৃহৎ পাইকারি মার্কেট হওয়ার কারণে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট পল্লীর ঈদের বেচাকেনা শুরু হয় শবেবরাতের পর থেকে রমজানের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলে মূল বেচাবিক্রি। তবে চলমান নিষেধাজ্ঞা দূরপাল্লার গাড়ি, লঞ্চ, স্টিমার, নদীপথে কোনো যাতায়াত না থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা আসতে পারছেন না। ফলে ব্যবসায়ীরা দোকান খুললেও ক্রেতা না থাকায় বেচাকেনা একদম নেই বললেই চলে। গত বছরের লোকসানের ধাক্কা কাটানোর আশায় অনেকে এ বছর দ্বিগুণ বিনিয়োগ করেছেন। সরেজমিন কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট পল্লী ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ  বিক্রয়কেন্দ্রই ছিল ক্রেতাশূন্য। প্রতিটি দোকানে লাখ লাখ টাকার পণ্য মজুত থাকলেও কোনো দোকানে ক্রেতা সমাগম চোখে পড়েনি। ব্যবসায়ীদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা বেশির ভাগ ব্যবসায়ী ব্যাংক, ফাইন্যান্স ও এনজিও কাছ থেকে সুদে লোন নিয়ে থাকি। তিনি বলেন, ব্যাংক সুদ নিচ্ছে ৯% আর ফাইন্যান্স কোম্পানি নিচ্ছে ১৮-১৯% সুদ নিচ্ছে। তার অভিযোগ যে, বিভিন্ন ফাইন্যান্স কোম্পানি লোনের চাপে অসহায় ব্যবসায়ীরা। মার্ক ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মো. ইমরান হোসেন বলেন, প্রতি ঈদে সবার একটি নির্দিষ্ট আকারে বাজেট থাকে। কিন্তু  দীর্ঘ সময় মহামারীর কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে এসেছে। পাশাপাশি গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সারা দেশের ব্যবসায়ীরা ঢাকায় পণ্য কিনতে আসতে পারছেন না। যে কারণে বিক্রি একেবারেই নেই।এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুসলিম ঢালী বলেন, গত বছরের লসের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার জন্য এ বছর অনেক ব্যবসায়ী দিগুণ বিনিয়োগ করেছে। তবে শবেবরাতের পর পরই লকডাউনের কারণে মার্কেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবারও ক্ষতির মুখে পড়ল গার্মেন্ট পল্লীর সিংহভাগ ব্যবসায়ী। কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি স্বাধীন শেখ বলেন, এ বছর অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের ব্যাংক, ফাইন্যান্স ও এনজিও থেকে সুদ নেওয়া আছে। তারা এ সময় বেচাকেনা করে লোন পরিশোধ করবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এখন দিশেহারা। কারণ বেচাকেনার সময় লকডাউন ছিল। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ক্রেতা আসতে পারছেন না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads