• বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪২৯
শাহজালালের সুরক্ষায় আট শতাধিক এপিবিএন সদস্য

সংগৃহীত ছবি

মহানগর

শাহজালালের সুরক্ষায় আট শতাধিক এপিবিএন সদস্য

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ মে ২০২১

এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় থাকছেন আট শতাধিক এপিবিএন সদস্য। প্রতিবারের মতো এবারো গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনাকে ঘিরে  বিশেষ পরিকল্পনাও নিয়েছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের কর্মকর্তারা। ঈদের ছুটিকে ঘিরে কোনোভাবেই যেন নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় সে বিষয়টিকে মাথায় রেখে  নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা পরিকল্পনা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রত্যেক সদস্যই সততা, নিষ্ঠা আর দায়িত্বশীলতা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিমানবন্দরের শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। বন্ধ হয়েছে চুরি, ছিনতাই। এমনকি হারিয়ে যাওয়া লাগেজও ফিরে পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান রোধেও কার্যকরী ভূমিকা রাখছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ। আর এই কারণে প্রতিবারের মতো এবারের ঈদেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। ঈদের পূর্বে যেমন নিরাপত্তা ছিল ঈদের দিন বা যে কয়েক দিন সরকারি ছুটি থাকবে সেই সময়টাতেও একই রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। ঈদের ছুটির কারণে নিরাপত্তা ঢিলেঢালার কোনো সুযোগ থাকবে না। এদিকে ঈদের সময় ফোর্স উন্নত খাবারেরও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা যায়। ঈদের দিন সেখানে কর্মকর্তাসহ ফোর্সদের কোরবানির পশু কেটে তাদের উন্নত মানের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। ব্যারাকের বাইরে যেসব সদস্য থাকেন এবং যারা কোরবানি করতে পারেননি তাদের জন্যও মাংসের ব্যবস্থা থাকবে। ঈদের দিন কর্মকর্তাসহ সব সদস্যকে একযোগে খাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন শিমুল বলেন, আমাদের এখানকার যা জনবল তার ২০ শতাংশ ছুটি দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে আট শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

সহকারী পুলিশ সুপার মর্যাদার কর্মকর্তারা তিন শিফটে আর সদস্যরা চার শিফটে দায়িত্ব পালন করে যাবেন। তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এক ঈদে ছুটি কাটালে অন্য ঈদ অফিসে করতে হয়। কিন্তু আমরা সেই অনুপাতে ছুটি দিতে পারি না। এখানে জনবল সমস্যা রয়েছে। তার পরও আমরা সবাই যেন ঈদ উৎসব করতে পারে সেই ব্যবস্থা করে থাকি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদের কারণে ছুটি থাকবে সেই হিসেবে এখানকার নিরাপত্তার কোনো ব্যাঘাত ঘটবে এমন হবে না। ঈদের পূর্বেও যেমন ছিল ঈদের সময়ও একই রকম থাকবে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটবে না। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ঈদের মধ্যে প্রত্যেক সদস্যের জন্য উন্নত খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads