পুরান ঢাকার মাজিদ সরদার রোডসহ বেশ কিছু রাস্তায় মাত্র এক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি হয়ে গেছে। এর ফলে অনেক দোকান এবং বাড়ির নিচতলা পানিতে ডুবে গেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে এ অবস্থা তৈরি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বংশালের বাংলাদেশ মাঠের চারপাশের সড়কে প্রায় হাঁটুপানি জমে রয়েছে। এই পানি ভেঙে চলাচল করছেন পথচারীরা। এর মধ্যে সিক্কাটুলী রাস্তা, নাজিরা বাজার চৌরাস্তা এলাকায় জলাবদ্ধতার পরিমাণ বেশি। তবে এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সাত রওজা চৌরাস্তায় নতুন পাইপলাইন বসাতে দেখা গেছে। বর্ষায় এই খোঁড়াখুঁড়ির কারণে নাগরিকদের চলাচলেও ভোগান্তি পোহাতে দেখা গেছে। মাজেদ সরদার রোডের এক বাসিন্দা বলেন, এখন বর্ষা মৌসুমে দু-একদিন পরপরই বৃষ্টি হচ্ছে। এমন অবস্থায় এক মাসের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় জলাবদ্ধতা লেগে আছে। নোংরা পানির কারণে প্রয়োজনেও বাসা থেকে বের হওয়া সম্ভব হয় না। অথচ সিটি করপোরেশনের তেমন কোনো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, টানা এক ঘণ্টা বৃষ্টি হলে সড়কে হাঁটু পানি জমে যায়। এই পানি সরতে এক থেকে দুদিন সময় লেগে যায়। জলাবদ্ধতার কারণ হল নগর কর্তৃপক্ষের অবহেলা। পানি জমলেই ড্রেনের ময়লা-আবর্জনায় পূর্ণ হয়ে যায় সড়কটি, ফলে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরেই এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ বিষয়ে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আউয়াল হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে তার ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ। প্রতিদিনই বাসিন্দারা মুঠোফোনে কল দিয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। বিষয়টি ডিএসসিসির সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।
তবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) দাবি করেছে যে পুরান ঢাকার পানির ঘাটতি দূর করতে একটি বিশাল প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় বংশালের বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা হ্রাস করার কাজ চলছে। এই কাজটি বর্ষায় শেষ হবে। এখন থেকে এই অঞ্চলগুলোতে জলাবদ্ধতা থাকবে না।
জানতে চাইলে ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) মুন্সী মো. আবুল হাশেম জানান, পুরান ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বংশাল এলাকার জলের বাধা কমিয়ে আনতে ৩০ মে থেকে নতুন পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। আমি আশা করি বর্ষার মাঝামাঝি সময়ে কাজ শেষ করতে পারব।