• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯

ফাইল ছবি

রাজনীতি

ভারত সফরে এবার বিএনপির প্রতিনিধিদল

  • রেজাউল করিম লাবলু
  • প্রকাশিত ২৮ এপ্রিল ২০১৮

ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আমন্ত্রণে শিগগিরই ভারত সফরে যাবে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। আগামী রমজানের মাঝামাঝি কিংবা ঈদের পর পরই বিএনপির এই প্রতিনিধি দল ভারত সফর করবে। এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ভারতের বিজেপি সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক প্রবাসী নেতা। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশের খবরকে বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। আগামীতে যখন তিনি জানবেন তখন গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানানো হবে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা এক সাংবাদিক বাংলাদেশের খবরকে বলেন, বিএনপির প্রতিনিধি দলের ভারত সফরের বিষয়ে হাইকমিশন কিছু জানে না।

ভারত সফরে বিএনপি বিজেপির কাছে কোন কোন বিষয় তুলে ধরতে পারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা বলেন, দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সকল ইস্যুতেই কথা বলবে বিএনপি। বিশেষ করে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ভারতের জন্য হুমকি হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ড এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে না। এ ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে সকল দলের অংশগ্রহণে হয় তা নিশ্চিতে ভারত তাদের ভূমিকা রাখবে এমন প্রত্যাশা রাখা হবে বিএনপির পক্ষ থেকে।

কার নেতৃত্বে বিএনপি ভারত সফরে যাবে জানতে চাইলে বিএনপির ওই নেতা বলেন, যেহেতু চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জেলে সেহেতু দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বেই বিএনপির প্রতিনিধি দল ভারতে যাবে।

এদিকে ২২ এপ্রিল বিজেপির আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল ভারত সফরে যায়। ভারত সফরে তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন ও বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারত সফর শেষে ২৪ এপ্রিল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আমন্ত্রণে তারা ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে পার্টি টু পার্টি আলোচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সকল ইস্যুতে কথা বলেছে।

বিএনপির প্র্রবাসী ওই নেতা বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই চেষ্টা করে আসছে ভারত সরকার যেন বিএনপির সঙ্গে কোনোপ্রকার যোগাযোগ না রাখে। তবে ভারতে যে সরকারই আসুক না কেন তারা চায় বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখতে। ৭ জুন ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে আসা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৈঠকের আগে তারা দুজন একান্তে কথাও বলেছিলেন। যদিও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকের কোনো শিডিউল নেই।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads