• শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪২৯

গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচন

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতের অন্তরালে

  • রেজাউল করিম লাবলু
  • প্রকাশিত ০৮ মে ২০১৮

ভোটাভুটির মাত্র ৯ দিন বাকি থাকতে হাইকোর্টের নির্দেশে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচন সাময়িক স্থগিত হওয়ায় রাজনীতির অঙ্গনে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। গাজীপুরের এ পরিণতিতে খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়েও মানুষের মধ্যে কাজ করছে শঙ্কা। এমনকি কেউ কেউ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও ভরসা পাচ্ছেন না।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন স্থগিতের ঘটনা সরকারের কারসাজি। কারণ নির্বাচন নিয়ে যিনি রিট করেছেন, তিনি সরকারি দলের অঙ্গ-সংগঠনের নেতা।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ দাবি করেছেন, সরকারের এখানে কোনো হাত নেই। আদালত নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগেও আদালত সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু রায় দিয়েছেন।

জিসিসি নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মূল্যায়ন- সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে বিএনপি ভাঙার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। এমনটি বলে সোমবার বাংলাদেশের খবরকে তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছিলেন তাতে সরকার ভিত হয়ে পড়েছিল। সরকার তার অধীনস্থ গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখেছে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি জয়লাভ করবে। ফলে নিজেদের লোক দিয়ে রিট করে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, নির্বাচন স্থগিত হলেও লাভবান হয়েছে বিএনপি।’ আর নির্বাচন সুষ্ঠু হলে লাভের অঙ্ক বাড়ত বলে মনে করেন দলের নীতিনির্ধারকরা।

তিনি বলেন, হয়রানি সত্ত্বেও গাজীপুরে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারে মানুষের সম্পৃক্ততা বেড়েছিল। এতে এটা প্রতীয়মান হয়, জনমত সৃষ্টি হলে কোনো স্বৈরাচারই টিকে থাকতে পারে না। সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, এখন সরকারের উচিত হবে চাটুকারদের কথা না শুনে জনগণ কী চায় তা বোঝার চেষ্টা করা। সে মোতাবেক কাজ করা।

এদিকে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে বাংলাদেশের খবরকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন। তার ভাষ্য- গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ছিল সরকারি দলের প্রার্থী প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ভোটে ব্যাপক কারচুপির পরিকল্পনা করছেন। এমনটি ঘটলে প্রতিক্রিয়া হবে খারাপ। গাজীপুর রাজধানীর কাছাকাছি হওয়ায় এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল জাতীয় রাজনীতিতে অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। তা ছাড়া উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও দাতা সংস্থা নির্বাচনী ইস্যু পর্যবেক্ষণ করছে। বিরূপ কিছু ঘটলে বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।

তিনি বলেন, সরকারদলীয় প্রার্থীর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ছিল গাজীপুরের গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা। তারা এক হয়েছিলেন সরকারদলীয় প্রার্থীকে হারাতে। এ ছাড়া সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ নেতারাও চাননি তুলনামূলক জুনিয়র নেতা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচনে বিজয়ী হোক। এসব বিষয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে এসেছিল বলেও বাংলাদেশের খবরকে জানান মিলন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads