সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বেশিদিন জেলে রাখতে পারবেন না। অপেক্ষা করুন, নিশ্চিত দেখবেন দেশের মানুষ একত্র হয়ে কারাগার ভেঙে তাকে মুক্ত করবে। গতকাল মঙ্গলবার ৯০’র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে এক দিনের জন্য ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানার পরামর্শ দেন তিনি।
সরকারের চলমান অপকর্মের রাস্তা থেকে ফেরার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, বন্দুকের ওপর নির্ভর করে দেশ পরিচালনা করছে। একে একে সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছে। তারা দেশটাকে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে যে, কোনোভাবেই আধুনিকভাবে গড়ে তোলার সুযোগ নেই। এক দিনের জন্য ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তারা দেখতে পারে নিজেদের কী অবস্থা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার কোনো পরিবেশ নেই অভিযোগ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রলীগ দখল করে নিয়েছে। স্বাস্থ্যসহ সব সেবা খাতে নৈরাজ্য চলছে। চিকিৎসকরা হাসপাতাল বন্ধ করে দিচ্ছেন। রোগীদের বের করে দিচ্ছেন।’
খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিহাস বলে খালেদা জিয়াকে বেশিদিন জেলে রাখতে পারবেন না। কারণ এ দেশের মানুষ সব সময় নিপীড়িত নির্যাতিতের পক্ষে।
নির্বাচন কমিশনার হেলাল উদ্দিনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তিনি বিকাল ৪টা পর্যন্ত অফিস করেন। এরপর তিনি চলে যান একটি বিশেষ দলের বিশেষ কার্যালয়ে। সেখানে সেই দলের নির্বাচনের পরিকল্পনা তৈরি হয়, যার প্রধান হলেন এইচটি ইমাম সাহেব। তিনি যেকোনো নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে কথা বলেন। এখানে নির্বাচনের কী ফলাফল আশা করা যায়।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, ডেমোক্র্যাটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মনি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।