• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
তিন সিটিতে বিজয় দেখছেন জয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

তিন সিটিতে বিজয় দেখছেন জয়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৩০ জুলাই ২০১৮

তিন সিটি করপোরেশনে ভোটের আগের দিন গতকাল রোববার এক জনমত জরিপের তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, রাজশাহী ও বরিশালে আওয়ামী লীগের ‘বড় ব্যবধানে বিজয়ের’ এবং সিলেটে ‘হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের’ আভাস পেয়েছেন তিনি। নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (আরডিসি) করা ওই জরিপের ফল তুলে ধরেছেন তিনি। জয় লিখেছেন, ‘নির্বাচনী লড়াইয়ে বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের জন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই না।’

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা জানান, পুরো জুলাই মাস ধরে আরডিসির মাধ্যমে বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় ভোটারদের মধ্যে ওই জরিপ চালিয়েছেন তারা। সেখানে দেখা গেছে, বরিশালে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং রাজশাহীতে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জনপ্রিয়তায় বিএনপির প্রার্থী মো. মজিবর রহমান সরওয়ার ও মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের চেয়ে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। তাদের মধ্যে ব্যবধান প্রায় ৩০ থেকে ৪২ শতাংশ। জরিপে সিলেটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দীন আহমদ কামরান জনপ্রিয়তায় বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরীর চেয়ে প্রায় ৫ শতাংশ এগিয়ে রয়েছেন।

গত দুইবার নির্দলীয় প্রতীকে হলেও এবার রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোট হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি- দুই দলই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয় বলেন, ‘গত পাঁচ বছর ধরে আরডিসির মাধ্যমে আমরা জরিপ পরিচালনা করছি। তাদের জরিপের পদ্ধতি ও ফলাফল বরাবরই আমার সঠিক মনে হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, যেহেতু জরিপগুলো গত এক মাস ধরে করা হয়েছে এবং এর মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা জোরেশোরে চলেছে তাই জরিপ ও নির্বাচনের ফলাফলে কিছুটা তফাত হতে পারে। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসী যে, বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ বিশাল ব্যবধানে জয়ের পথে। যদিও সিলেটে আমরা কিছুটা এগিয়ে আছি, এই মুহূর্তে আসলে কাউকেই বিজয়ী হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।’ তিনি লিখেছেন, ‘বিএনপি অনেক ধরনের অভিযোগ করতে থাকে, কিন্তু আসল কথা হচ্ছে তাদের কোনো জনপ্রিয়তাই নেই। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন দিন দিন বাড়ছে। নির্বাচনী লড়াইয়ে বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের জন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই না।’ বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, সম্প্রতি গাজীপুর ও খুলনা সিটির নির্বাচনে ‘ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতির’ মাধ্যমে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীনরা। এখন ‘সেই কৌশল’ তারা তিন সিটির ভোটেও কাজে লাগাতে চাইছে। ওই অভিযোগের পাল্টায় জয় লিখেছেন, ‘আমি আমাদের দলীয় নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানাব, তারা যেন সজাগ থাকেন। কারণ আমাদের আশঙ্কা বিএনপি ভোটকেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়ে সেই দায় আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা চালাবে।’ গাজীপুরের নির্বাচনের সময় বিএনপি নেতাদের ‘এরূপ ষড়যন্ত্রের ফোনালাপের’ প্রসঙ্গ টেনে জয় বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থীরা যতই ভোটারদের কাছে যান, ততই তারা বুঝতে পারেন তাদের দল বাংলাদেশের মানুষদের থেকে কতটা দূরে সরে গিয়েছে। তাই আওয়ামী লীগকে বিতর্কিত করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের একমাত্র কৌশল।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads