বিএনপি নেতাদের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার চাওয়া ইতিহাসের নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের প্রতি নিষ্ঠুর রসিকতা বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘একুশে আগস্টের খুনিদের পৃষ্ঠপোষকরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়। বিএনপি নেতারা বিচার চান! এটাকে কী বলবেন? ইতিহাসের নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রতি নিষ্ঠুর রসিকতা। বিএনপি খুন করে খুনের বিচার চাইতে পারে। দুর্নীতি করে দুর্নীতির বিচার চাইতে পারে, দণ্ডিত হয়েও নিরাপরাধ বলে নিজেদের জাহির করতে পারে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবসের মাসব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী উপলক্ষে আয়োজিত এ সভার আয়োজন করে যুবলীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এরা (বিএনপি) যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য সারা দুনিয়ায় প্রচার করেছে। জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক বানানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছে। নিরীহ শিশুদের যুক্তিসঙ্গত সামাজিক আন্দোলনকে নিয়ে ছদ্মবেশী কুচক্রীদের সঙ্গে মিলিত হয়ে বলেছে, ‘বাংলাদেশে গণহত্যা চলছে, যেখানে কোনো হতাহতই হয়নি।’
এই অপপ্রচার নোবেল বিজয়ীদের পর্যন্ত বিবৃতি দিতে প্রলুব্ধ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ কুচক্রি মহলের কতটা আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক রয়েছে-সেটা এখন দিবালোকের মত পরিষ্কার।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরাই (বিএনপি) সেই দল যারা দলের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাতিল করে দুর্নীতিবাজ, পাগল ও মাতালদের দলে স্থান করে দিয়েছে। তারা এখন নির্বাচন চায় না। কারণ, তারা জানে নির্বাচন হলে ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাই চক্রান্তের চোরাগলি বাছাই করেছে। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে শেখ হাসিনাকে হঠানোর ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। একুশ আগস্ট সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সেদিন সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিল।