• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯
এখনো গড়ে ওঠেনি পেশাজীবীদের ঐক্যের ভিত

বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

এখনো গড়ে ওঠেনি পেশাজীবীদের ঐক্যের ভিত

আদর্শের চেয়ে টিকে থাকাই গুরুত্ব পাচ্ছে

  • আফজাল বারী
  • প্রকাশিত ০৩ অক্টোবর ২০১৮

রাজনীতিতে এখন আলোচনার কেন্দ্রে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য। রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি পেশাজীবীদের মধ্যেও এই ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ চলছে। তবে পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে এখনো এ প্রক্রিয়ায় গতি আসেনি। মূল উদ্যোক্তারা একমত হতে পারলে এ অংশটিও সংঘবদ্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে।

ঐক্য প্রক্রিয়ার একাধিক সমন্বয়ক বাংলাদেশের খবরকে জানিয়েছেন, আদর্শের চেয়ে পেশায় টিকে থাকাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন পেশাজীবীরা। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা। এই পেশার বেশিরভাগ সংগঠনের নিয়ন্ত্রক ক্ষমতাসীনরা। তবে যেসব দল ও মতের মানুষ ঐক্যে শামিল হচ্ছেন তাদের মতাদর্শের পেশাজীবীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। আগামী সপ্তাহে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে পারেন তারা।    

দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং একই সঙ্গে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বর্ষীয়ান আইনজীবী ড. কামাল হোসেন ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত ২২ সেপ্টেম্বর মহানগর নাট্যমঞ্চে একটি সমাবেশ হয়েছে। সেখানে ড. কামাল হোসেন ও বি. চৌধুরী, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির প্রধান সাবেক মন্ত্রী আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় নেতারা এক মঞ্চে আসার পর পেশাজীবীদেরও এখন ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে গত ২৫ সেপ্টেম্বর পেশাজীবী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। তাতে নেতারা বৃহত্তর ঐক্যের বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

চিকিৎসক, আইনজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী, কৃষিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে এই উদ্যোগে শামিল করা হচ্ছে। উদ্যোগটি অনেক দূর এগিয়েছেও। তবে ব্যবসায়ীরা তেমন সাড়া দিচ্ছেন না।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই। আইনজীবীদের মধ্যে এ উদ্যোগ চলছে। আগামী ৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে একটি কর্মসূচি রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন দলের সমর্থক সিনিয়র আইনজীবী ছাড়াও দলনিরপেক্ষদেরও ডাকা হয়েছে। বিভিন্ন পেশাজীবী নেতারা তাতে বক্তব্য  দেবেন।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ নেতা ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বাংলাদেশের খবরকে বলেন, সাংবাদিকরা সব সময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আগে ঐক্য হোক তারপর পেশাজীবীদের বিষয়টি আসবে। আমরা মনে করি মানুষের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য যেকোনো আন্দোলনে আমাদের সমর্থন থাকবে। 

বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ব্যবসায়ীরাও সচেতন মানুষ। তারাও চায় দেশে আইনশৃঙ্খলা, গণতন্ত্র, শান্তি বজায় থাকুক। ব্যবসা থাকুক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে। এসবের মূলে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে কারো নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে আমরা থাকব। আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে।

ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (অ্যাব) সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিজু বাংলাদেশের খবরকে বলেন, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের দাবি-দাওয়ার সঙ্গে আমরা শতভাগ একমত। দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের পেশার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। 

চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) মহাসচিব এবং সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমরা সাংগঠনিকভাবে যুক্ত হব কি না তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন। তবে তাদের দাবির দিক থেকে আমরা কাছাকাছিই আছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads