• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
রায় ‘ফরমায়েশি’, বিএনপির প্রত্যাখ্যান

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

রায় ‘ফরমায়েশি’, বিএনপির প্রত্যাখ্যান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ অক্টোবর ২০১৮

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে ‘ফরমায়েশি রায়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই রায় আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। আজ বুধবার দুপুর ১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল আরো বলেন, এই রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। ক্ষমতাসীন দলের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এই রায় দেওয়া হয়েছে। জাতির দুর্ভাগ্য এই যে, সরকার তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য আদালতকে ব্যবহার করে আরেকটি মন্দ দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। যেমনটি করেছে মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দিয়ে। তাই এ রায় আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।

তিনি বলেন, বিএনপি সরকার এই হামলার বিষয়ে শুরুতেই পদক্ষেপ নিয়েছিল। তদন্ত শুরু করেছিল। সে সময় সাক্ষীরা এবং শেখ হাসিনা তারেক রহমানসহ বিএনপির কারো নাম বলেননি। কিন্তু ২০০৯ সালে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে বিতর্কিত করার জন্য দলীয় লোক আবদুল কাহার আকন্দকে তদন্ত কর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয় এবং এই মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন শুরু করে। এই কর্মকর্তা একজন আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি মুফতি হান্নানকে নির্যাতন করে তারেক রহমানের নাম বলতে বাধ্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই মামলায় অন্য কোনো সাক্ষীর কথা বলা নেই। কেউ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয়নি কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তাকে জড়ানো হয় এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ থেকে পুনরায় প্রমাণিত হলো, এ দেশের নাগরিকের সুবিচার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহার কথাই প্রমাণ হলো, যে দেশে প্রধান বিচারপতি সুবিচার পান না, সে দেশে সাধারণ নাগরিক কী করে সুবিচার পাবে?

ফখরুল বলেন, আমরা দেশবাসীকে সরকারের এহেন প্রতিহিংসামূলক আচরণ ও আদালতের মাধ্যমে তা কার্যকর করার অপকৌশল সম্পর্কে জনগণকে সজাগ হয়ে অনির্বাচিত এই সরকারকে হটিয়ে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আহ্বান জানাচ্ছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads