• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জৈষ্ঠ ১৪২৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে স্বাগত জানিয়েছে ২০-দলীয় জোট

লোগো ২০-দলীয় জোট

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে স্বাগত জানিয়েছে ২০-দলীয় জোট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ অক্টোবর ২০১৮

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি ও ১১ লক্ষ্য সম্পর্কে জোটের শরিক দলগুলোর নেতাদের অবহিত করা হয়েছে। দাবি ও লক্ষ্য এক হওয়ায় নবগঠিত রাজনৈতিক জোট ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’কে স্বাগত জানিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের নেতারা। গতকাল সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ২০-দলীয় জোটের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জোটের সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়ে বৈঠক শেষ হয় রাত পৌনে ৮টায়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য ঘোষণা করেছে, তা ২০-দলীয় জোটের বৈঠকে পর্যালোচনা করা হয়েছে। ২০ দলীয় জোট দীর্ঘদিন ধরে যেসব বিষয় নিয়ে আন্দোলন করে আসছিল, নতুন জোটও সেই একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। সে কারণেই ২০-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে স্বাগত জানিয়েছে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে জনগণের আন্দোলন জোরদার হবে। তাছাড়া দেশে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে তারা তা পালন করবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠক সূত্র জানায়, বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং তার ছেলে ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শরিক দলগুলোর নেতারা। এ ছাড়া বি. চৌধুরীকে বাদ দিয়ে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের বাসভবনে গিয়ে বিএনপি নেতাদের বৈঠককে সাধুবাদ জানিয়েছেন নেতারা।

জাতীয় পার্টির (মঞ্জুর) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বাংলাদেশের খবরকে বলেন, বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে স্বাগত জানিয়েছেন জোটের শরিক দলগুলোর নেতারা।

জানা গেছে, বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সরকারবিরোধী বৃহত্তর জোট ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’সহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী দিনের কর্মপন্থা ঠিক করতে জোটের শরিকদলগুলোর নেতাদের মতামত নেওয়া হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ২০-দলীয় জোটের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম খান, জোটের শরিকদল জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আবদুর রকিব, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, ডেমোক্র্যাটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মণি, পিপলস লীগের (পিএল) সাধারণ সম্পাক সৈয়দ মাহবুব হোসেন প্রমুখ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads