• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
‘জোট না হলে এককভাবে নির্বাচন করবে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ’

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মোজাদ্দেদী

ছবি : বাংলাদেশের খবর

রাজনীতি

‘জোট না হলে এককভাবে নির্বাচন করবে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ’

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২২ অক্টোবর ২০১৮

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে মহাজোট থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মোজাদ্দেদী বলেছেন, জোট না হলে এককভাবে নির্বাচন করবে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ।

তিনি সোমবার সকালে হাজীগঞ্জের ধেররা ইমামে রাব্বানী দরবার শরীফে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনারের আইন অনুযায়ী একটি দল পর পর দু’বার নির্বাচন না করলে ওই দলের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। সে অনুযায়ী গত নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেনি। এবারের নির্বাচনে আমাদের অংশগ্রহন করতেই হবে। না করলে, আমাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা এককভাবে ১০১টি আসনে প্রার্থী নির্বাচন করবো, সে অনুযায়ী আমাদের প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। পাশা-পাশি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার আলাপ আলোচানাও চলছে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছু সুবিধাবাদী চক্র দীর্ঘদিন ধরে যে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে, তা থেকে উত্তরণে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতীব গুরুত্বপূর্ণ। দেশের আপামর জনসাধারণও উৎসবমুখর পরিবেশে একটি অংশগ্রহণমুলক নির্বাচনের দিকে মুখিয়ে আছে। এ লক্ষ্যে দেশের নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত প্রায় সকল রাজনৈতিক দলই ইতোমধ্যে নির্বাচনের প্রাক-প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সেই সাথে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশও (নিবন্ধন নং-৩০) আসন্ন নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্নের অংশ হিসেবে চাঁদপুর-৫ আসনে চুড়ান্ত প্রস্তুতি দেশবাসীকে জানান দেয়ার জন্যই আমরা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষীয় একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ২০০৪ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে এক ও অভিন্ন যুগপৎ কর্মসূচীতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। বিশেষতঃ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পরবর্তী একমাত্র ইসলামী দল হিসেবে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ধানমন্ডির সুধা সদনে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সমবেদনা জ্ঞাপন করে জোট সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে শরিক থাকার ঘোষণা দিয়ে সময়ের সাহসী ভূমিকা পালন করে।

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রথম ২০১০ সালের ৩রা এপ্রিল পল্টন ময়দানে যুদ্ধাপরাধীবিরোধী মহাসমাবেশ এর মাধ্যমে রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করেন বর্তমান সরকারের আমলে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে কোন দৃশ্যত কোন উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে কয়েকজন নেতার। রাতারাতি অনেক নেতা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। অনেক নেতা মাদকের সাথে জড়িত হয়ে যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ক্ষমতায় গেলে দূর্নীতি মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করবে। নারীর ক্ষমতার উন্নয়ন, ঘরে ঘরে চাকুরীর ব্যবস্থা ও হাজীগঞ্জ শাহরাস্তিতে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে।


তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ বাজার একটি বাণিজ্যিক শহর হলেও এখানে সম্পূর্ণ নিরাপদে ব্যবসা করার পরিবেশ পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অশিক্ষিত ও অর্ধ-শিক্ষিত অভিভাবক সদস্যদের রাজনৈতিক জোর খাটিয়ে দায়িত্বের আসনে বসানো হয়েছে ফলে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে অভিভাবক ও সুশীল সমাজ।

বর্তমান সরকারকে সাধুবাদ জানাই প্রযুক্তি নির্ভর দেশ পরিচালনা করায়। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাংবাদিকদের জন্য কঠোরভাবে ব্যবহার না করে হ্যাকারদের জন্য ব্যবহার করলে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাবে। তা না হলে হয়রানির শিকার হবে জাতির বিবেক সাংবাদিক বন্ধুরা।

তিনি বলেন, আমি এমপি হলে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির মানুষ সবার আগে উন্নত জীবন-যাপন করবে। প্রতিটি গ্রামকে একেকটি শহরে পরিণত করবো।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সি মোহাম্মদ মনির, শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির, ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ আলী নকসেবন্দী, হাজীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি জাকির হোসেন মিয়াজী, যুব ফ্রন্ট হাজীগঞ্জ শাখার সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন আল আজাদ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশের হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল আলম পাটওয়ারী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads