• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
শোকরানা মাহফিলে কওমিদের ঢল

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা ‘শোকরানা মাহফিলে’ কওমিদের ঢল

ছবি : বাংলাদেশের খবর

রাজনীতি

শোকরানা মাহফিলে কওমিদের ঢল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ নভেম্বর ২০১৮

সরকার কওমি মাদরাসার সনদের স্বীকৃতি দেওয়ায় গতকাল রোববার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা হয়  শোকরানা মাহফিলের। এ স্বীকৃতির প্রতিদানস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। হেফাজতে ইসলাম পরিচালিত কওমি মাদরাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল হাইআতুল উলিয়া লিল-জামি’আতিল কওমি বাংলাদেশ’ এই শোকরানা মাহফিল ও সংবর্ধনার আয়োজন করে। এ উপলক্ষে গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢল নেমেছিল কওমি মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

আগের দিন শনিবার রাত থেকেই বাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে সারা দেশের কওমি মাদরাসাগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রাজধানীতে মাহফিলে আসতে শুরু করেন। ফজরের নামাজের পর পরই তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনসমুদ্রে পরিণত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ফলে পূর্বনির্ধারিত সময় সকাল ১০টার এক ঘণ্টা আগেই কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় মাহফিল। এক পর্যায়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের সড়কগুলোয়ও কওমি মাদাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। এ ছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, জাতীয় ইমাম সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের আলেমরাও অংশ নেন মাহফিলে। পুলিশ সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের সড়কগুলো ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে। সিলেট থেকে আসা মো. শাকিল হোসেন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত ছিলেন। আমাদের সার্টিফিকেটের কোনো সরকারি স্বীকৃতি ছিল না। শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এই স্বীকৃতি ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, এই স্বীকৃতি দেওয়ায় আমরা প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিয়েছি। আমরা সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে কয়েকশ লোক বাসে করে মাহফিলে এসেছি।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে আসা নুরুল ইসলাম বলেন, সংসদে আইন করে কওমি সনদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এটি আমাদের জন্য গৌরবের। এ জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানাতে এসেছি। আল্লাহর কাছে ওনার জন্য দোয়া করি। তিনি আরো বলেন, কওমি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে চাকরি পেত না। তাদের একমাত্র ভরসা ছিল মসজিদে কিংবা মাদরাসা। অন্য কিছু করতে চাইলে আবার ‘জেনারেল লাইনে’ পড়াশোনা করা লাগত। অনেকে কম্পিউটারে আরবি টাইপ শিখে প্রেসে কাজ নিত। এ ছাড়া করার তেমন কিছু ছিল না। আল্লাহর রহমতে প্রধানমন্ত্রীর কৃপায় আমরা স্বীকৃতি পেয়েছি। আশা করি চাকরিও পাবে।

মাহফিল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

এদিকে, শোকরানা মাহফিলের কারণে গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের কয়েকটি সড়কে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ রাখে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ফলে রোববার ভোর থেকেই এসব সড়কে চলাচলকারী গণপরিবহনগুলোকে পড়তে হয় বিপাকে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর কওমি মাদরাসা শিক্ষার সনদের স্বীকৃতি দিয়ে জাতীয় সংসদে আইন পাস হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads