• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
আলোচনায় হিরো আলম

হিরো আলম

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

আলোচনায় হিরো আলম

  • এস এম মুকুল
  • প্রকাশিত ১৯ নভেম্বর ২০১৮

রাজনীতির মাঠে হঠাৎ আলোচনায় হিরো আলম। কে এই হিরো আলম। বগুড়ার একসময়কার চাটনি ও চানাচুর বিক্রেতা। পরে আসেন মিউজিক ভিডিওতে। পরিচিতি পান দেশে-বিদেশে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও করেন দু’দফায়। হেরেছেন ৭১ ও ১৬ ভোটে। এবার মাঠে জাতীয় সংসদের সদস্য পদে নির্বাচনে।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা ইতোমধ্যে চাউর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আলোচনা-সমালোচনাও বইছে বেশ। হাস্যরসেরও খোরাক এই কৌতুক অভিনেতা। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়ে। ভাইরাল হচ্ছে তার বক্তব্য, টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকার। সমালোচকদের ধন্যবাদ জানিয়ে এবং তার ভাষ্যে ‘ষড়ষন্ত্রকারীদের’ সতর্ক করে দিয়ে এনডিটিভি বাংলাকে  দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘কিছু মানুষ ও মিডিয়া আমার এমপি-মন্ত্রী হওয়া ঠেকাতে ষড়যন্ত্র করছে। তারা চায় না আমি নির্বাচন করে এমপি-মন্ত্রী হই।’

বেসরকারি এক টেলিভিশনে হিরো আলমের দেওয়া সাক্ষাৎকার আলোড়ন তুলেছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক চলমান নানা মুখরোচক গালগল্পের মাঝে হিরো আলমের প্রার্থিতা নতুন রসমাত্রা তৈরি করেছে বলে সচেতন মহলের অভিমত। ইউটিউবে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের লিঙ্কটি ফেসবুকেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। অসংখ্য লাইক, শেয়ারের পাশাপাশি প্রচুর কমেন্টস-এ হিট হিরো আলম। সাক্ষাৎকারে হিরো আলমের বক্তব্য শেয়ার করে তার প্রশংসা করছেন অনেকে। সংসদ নির্বাচনে হিরো আলমের প্রার্থিতা, যোগ্যতা নিয়ে অপরাপর প্রার্থীদের মাঝে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে টিভি সাক্ষাৎকারে উপস্থাপিকার এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেছেন,  ভারতের মোদি তো চা বিক্রি করতেন, তিনি যদি পারেন তবে আমি হিরো আলমের বেলায় এত আপত্তি কেন।

সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে হিরো আলম বলেন, ‘আমাকে নিয়ে ব্যঙ্গ-কৌতুক করার আগে একবার ভাবুন, জিরো থেকে হিরো আলম কেমনে হলাম। অনেক সাহস, পরিশ্রম আর স্বপ্নের জোরেই জিরো থেকে হিরো আলম হয়েছি। দেশ-বিদেশের মিডিয়ায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়জনকে নিয়ে এত মাতামাতি হয়েছে? কয়জনকে খোঁজার জন্য গুগলে এত বেশি সার্চ হয়েছে?’

আরো বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দু’বার ৭১ ও ১৬ ভোটে হেরেছি। তখনই ঘোষণা দিয়েছিলাম, ফের কোনো দিন নির্বাচন করলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করব। আর কোনো ছোট ইলেকশন করব না। সেই সুযোগ এবার কাজে লাগাতে চাই। দলীয় মনোনয়ন হাতে নিয়েই বগুড়ায় ফিরব।’

গণমাধ্যমে আরেক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের মিডিয়ায় কেউ সেলিব্রেটি হলে, তাকে নিয়ে কথা হবেই। আমি হিরো এটা আমার একটা পরিচয়, আবার রাজনীতি আমার আরেকটা পরিচয়। কেউ কোনোটাকে নেগেটিভলি নেবে আবার কোনোটাকে পজিটিভলি নেবে।’

হিরো আলম বলেন, ‘দেশের মানুষ আমাকে জিরো থেকে হিরো করেছে। আজ মানুষের ভালোবাসার কারণেই আমি এই অবস্থানে এসেছি। আমি যদি এমপি হই তাহলে মানুষের সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে কাজ করে যাব।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘মোদি প্রধানমন্ত্রী হলে আমার বেলায় হিংসা কেন?’

নিজের তৈরি বিভিন্ন মিউজিক ভিডিও নিয়ে হিরো আলমের পরিচিতি দেশ থেকে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বময়। তারকাখ্যাতি পান তিনি। ছবিতে কাজ করেছেন হিরো আলম। ডাক পেয়েছেন বলিউড এবং কলকাতার ছবিতেও। ফেসবুকে তার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ফলোয়ার।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করবেন বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়া-৪ আসনে। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার সঙ্গে মনোনয়ন ফরম হাতে তার হাস্যোজ্জ্বল ছবি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads