আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের ভরাডুবি নিশ্চিত জেনেই বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচনের আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা গায়ে মুজিব কোট পরে ও নৌকা মার্কার ব্যাজ লাগিয়ে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ঢাকার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুর সবুর, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মাহরুফা আখতার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আবদুর রহমান বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ, সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামি তারেক রহমানের মনোনয়ন-বাণিজ্যের কারণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিএনপির প্রার্থী মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন। বিএনপির দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির কারণে তাদের নেতাকর্মীরা আজ গভীর হতাশায় নিমজ্জিত। নির্বাচনের মাঠে নেতাকর্মীশূন্য বিএনপির ভরাডুবি নিশ্চিত। এ আশঙ্কায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তারা।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের নীলনকশা অনুযায়ী জনগণের নির্বাচনকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে, পরিকল্পিতভাবে নাশকতা ও সন্ত্রাসের এ পথ বেছে নিয়েছে তারা (বিএনপি-জামায়াত)।’
ভোটের দিন কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার ঘোষণায় বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে- এমন অভিযোগ করেন এ আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি এ সময় দাবি করেন, ‘অসত্য অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) একজন ডিসি, দুজন এডিসি ও চারজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে।