• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯
গণতন্ত্রের বাহন নির্বাচন পরিণত হচ্ছে প্রহসনে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

নির্বাচনে জামায়াতের কোনো প্রার্থী নেই : দাবি বিএনপির

গণতন্ত্রের বাহন নির্বাচন পরিণত হচ্ছে প্রহসনে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮

গণতন্ত্রের বাহন নির্বাচনকে পরিকল্পিতভাবে প্রহসনে পরিণত করা হচ্ছে। একদিকে আদালত কর্তৃক প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হচ্ছে, অন্যদিকে বৈধ প্রার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন, ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসন একজোট হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করে ভোটের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গতকাল শনিবার আদালত কর্তৃক সাময়িক স্থগিত হওয়া বিএনপির প্রার্থীদের আসনে নির্বাচন স্থগিত অথবা প্রার্থিতা পরিবর্তনের সুযোগ চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

এ সময় তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রার্থী নেই বলেও সাফ জানিয়ে দেন। অভিযুক্ত প্রার্থীদের জামায়াত মনোনীত করেনি, বিএনপি মনোনীত করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপিদলীয় প্রতীক ধানের শীষে নির্বাচন করছেন  তারা। তাই তাদের জামায়াতের প্রার্থী বলার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, বিজন কান্তি সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া জামায়াত নেতাদের পদপদবি তাদের দলীয় ওয়েবসাইটে উল্লেখ আছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, ওয়েবসাইটে পদপদবি থাকুক। কোনো ওয়েবসাইটে নাম কীভাবে আছে সেটা পরের ব্যাপার। আমরা আইনের মাধ্যমে দিতে পারি কি না সেটা হলো বিষয়। জামায়াত কোনো নিবন্ধিত দল নয়। কারা কারা জামায়াত করে সেই তালিকাও আমাদের কাছে নেই। আমরা যাদের মনোনয়ন দিয়েছি, তারা আমাদের দলের প্রতীক ধানের শীষ পেয়েছেন। এটা যদি অবৈধ হতো তাহলে নির্বাচন কমিশন আগেই বলত- তাদের প্রার্থিতা অবৈধ। তাদের যদি প্রতীক দেওয়া বে-আইনি হতো, যখন প্রতীক বরাদ্দ করা হয় তখন নির্বাচন কমিশন কেন প্রতীক বরাদ্দ করল। আওয়ামী লীগ সব সময় বলে নির্বাচন কমিশন যা করে তাই আমরা মেনে নেব, বাধা সৃষ্টি করব না। এখন কেন আওয়ামী লীগ ইসির কাজে পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আদালত ১২-১৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এসব আসনের নির্বাচন স্থগিত রেখে আবার নির্বাচনের দাবি করছি। অথবা এসব আসনে আমাদের প্রার্থী পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হোক। নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতা বৈধতা দেওয়ার কারণেই তাদের আমরা মনোনীত করেছি। কমিশন যদি সেই সময় অবৈধ ঘোষণা করত আমরা অন্য প্রার্থী দিতাম। সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি, ধড়পাকড়, হামলা-মামলা অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, একদিকে পরিকল্পিতভাবে আদালত কর্তৃক প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হচ্ছে, অন্যদিকে বৈধ প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বরিশাল-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী শিরিন আক্তারকে গতকাল মারধর করে পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বরিশাল হাসপাতলে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। সেখানে তাকে দেখতে যাওয়া ৮-১০ নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া নরসিংদীর মনোহরদী আসনের বিএনপি প্রার্থী সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা করে। এতে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশি উপস্থিতে সেখানে হামলা হলেও হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে বরং বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। নরসিংদী-৩ আসনের মনজুর এলাহীর মিছিলেও আওয়ামী লীগ হামলা করেছে।

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সরকার তাদের দেশে আসতে বাধা দিচ্ছে। তাদের ভিসা না দিলে তারা কীভাবে আসবেন। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনের নামে যে কাজটি করতে চাচ্ছে সেটি হলো চুরি-চামারি। আর কাজে বাধা হতে পারে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। এ কারণেই তারা বিদেশি পর্যবেক্ষক আসতে দিতে চাচ্ছে না।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads