• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন কে

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও রওশন এরশাদ

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন কে

  • কামাল মোশারেফ
  • প্রকাশিত ০১ জানুয়ারি ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দলে থাকছে জাতীয় পার্টি। পাশাপাশি সরকারের মন্ত্রিসভায়ও থাকবেন দলের সদস্যরা। বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ হবেন না তার স্ত্রী বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ হবেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।

নির্বাচনের ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে ২৯৯ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৭। ২২ আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে জাতীয় পার্টি। বিএনপি ৫ আসন, গণফোরাম ২ এবং অন্যরা জয় পেয়েছে ১১ আসনে। ফলাফলের হিসাবে বিরোধী দলের নেতার আসন পাচ্ছে জাতীয় পার্টি। দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ না সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। বিরোধী নেতা হিসেবে রওশন এরশাদকে বেশি পছন্দ সরকারের। শারীরিকভাবে অসুস্থ এরশাদ। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ তিনি। টানা ১৬ দিন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করে গত বুধবার দেশে ফেরেন। ফিরলেও অসুস্থতার কারণে রংপুরে ভোট দিতে যেতে পারেননি সাবেক রাষ্ট্রপতি। আবারো বিদেশ যাবেন চিকিৎসা করাতে। শারীরিকভাবে অসুস্থ বিরোধী দলের নেতা রওশনও।

২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৪ আসন নিয়ে বিরোধী দলের আসনে বসে জাতীয় পাটি। ফলাফলের পর স্ত্রী রওশনকে বিরোধী দলনেতা হওয়ার জন্য মত দেন এরশাদ। পরে আবার সেই সিদ্ধান্ত বদলে নিজেই বিরোধী দলনেতা হওয়ার চেষ্টা করেন। এতে বাগড়া দেন রওশন। জাতীয় পার্টির এমপিরা রওশনের পক্ষে একাট্টা থাকায় এরশাদের ইচ্ছা পূর্ণ হয়নি। এর অন্যতম কারণ ছিল- এরশাদ ওই নির্বাচন বর্জন করতে চেয়েছিলেন। অন্যদিকে রওশনের নেতৃত্বে জাপার নেতারা নির্বাচনে অংশ নেন। সংসদের মাঝামাঝি সময়ে এসে আবারো বিরোধী দলনেতার চেয়ারে বসতে চেয়েছিলেন এরশাদ। ব্যর্থ হন। এই বিবাধে তখন এরশাদ-রওশন দ্বন্দ্ব প্রকাশ পেয়েছিল। এখন আর কোনো দ্বন্দ্ব নেই তাদের মধ্যে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের নির্বাচনী ঐক্য হয়েছিল। কয়েকটি আসনে তারা আমাদের ভোট দিয়েছে, কয়েকটিতে আমরা তাদের ভোট দিয়েছি। তবে হ্যাঁ, এখন আমরা আলোচনা করতে পারি, সরকারে অংশ নেব নাকি বিরোধী দলে থাকব। আমরা যদি চাই দুটি অপশনই খোলা আছে। জাপার বিরোধী দলের আসনে বসার ক্ষেত্রে কোনো আইনি জটিলতাও নেই বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয় ম্যাডামই (রওশন এরশাদ) বিরোধী দলনেতা হবেন। যেহেতু স্যারের (এরশাদ) শরীরটা অনেক খারাপ। আপনারা দেখেছেন, তিনি নির্বাচনী ক্যাম্পেইনেও অংশ নিতে পারেননি।

অপরদিকে তৃতীয় দফায় নতুন সরকার গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগে চলছে শলাপরামর্শ। নতুন সরকারের মন্ত্রিপরিষদে জাতীয় পার্টির কয়জন নেতা মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন তার হিসাব-নিকাশ করছে দলটির হাইকমান্ড। আগের মেয়াদে দুইজন প্রতিমন্ত্রী ও একজন পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন জাতীয় পার্টির। এছাড়া দলের চেয়ারম্যান এরশাদ পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের মর্যাদা। দলের কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ হয়েছিলেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। এবার জাতীয় পার্টি চাইছে তার দল থেকে অন্তত চারজনকে যেন মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়। সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও সংসদ উপনেতা কে হবেন সেটা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা চলছে জাতীয় পার্টিতে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads