• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় সুলতান মনসুর

ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় সুলতান মনসুর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। জোটের সাংসদদের শপথ না নেওয়ার পক্ষে জোটপ্রধান ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন মত দিলেও এ বিষয়ে যুক্তি দেখান আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক।

শপথের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন তার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। কিন্তু একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর দলের বর্ধিত সভায় ড. কামাল হোসেন সংসদে যাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। এখন তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেও আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের কাছে আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে সংসদে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত এই নেতা বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণ শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। জনগণ চান দায়িত্ব পালনে আমি সংসদে যাই। আর আমার দায়িত্বও হচ্ছে নির্বাচনী এলাকার মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা, তাদের পক্ষে ভূমিকা রাখা এবং আমার রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনা ও আদর্শকে যথাযথ কাজে লাগানো। এসব বাস্তবায়নের জন্য একজন এমপি হিসেবে আমাকে শপথ নিতে হবে এবং জাতীয় সংসদে যেতে হবে। সুস্থ হওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন।

একই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্যনিয়ে সিলেট-২ আসন থেকে বিজয়ী গণফোরামের একমাত্র প্রার্থী মোকাব্বির খান দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ মুহূর্তে দলের সিদ্ধান্ত সংসদে না যাওয়ার পক্ষে। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আর শপথ নিচ্ছি না। যতক্ষণ পর্যন্ত দল ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে না ততক্ষণ শপথ নেব না।

যদিও সপ্তাহ খানেক আগে গণফোরামের নির্বাচিত এই প্রার্থী সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। মোকাব্বির খান বলেন, শপথ নেওয়ার কথা আগে জানিয়েছিলাম দলের শীর্ষ পর্যায়ের মনোভাব বুঝেই। উনি (ড. কামাল) প্রথম দিকে নিজেও বলেছিলেন যে সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে ওনার মতামত ইতিবাচক। এখন দলের সিদ্ধান্ত না যাওয়ার পক্ষেই কিন্তু এটাও তো স্থায়ী কিছু না। সব ক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করব।

উল্লেখ্য, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের যে দুজন এবার জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন তাদের শপথ নেওয়ার ব্যাপারে গত কিছুদিন ধরেই চলছে জল্পনা কল্পনা। গত ২৮ জানুয়ারি মৌলভীবাজার-২ ও সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান জানান যে তারা শপথ নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক।

গণফোরামের এই দুই নেতার দিক থেকে এমন বক্তব্য আসার পর থেকে ঐক্যফ্রন্টের ভেতরের ঐক্য নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কারণ শুরু থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, জোটের কেউ সাংসদ হিসেবে শপথ নেবে না। বিষয়টি পরিষ্কার করে ড. কামাল হোসেন গত বৃহস্পতিবার বিকালে পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে আমাদের বিজয়ী প্রার্থীদের কেউই সংসদে যাবেন না। তারা শপথ নেবেন না। প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রের আমন্ত্রণেও ঐক্যফ্রন্ট যাবে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads