• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
প্রচার শেষ, অপেক্ষা ভোটের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

প্রচার শেষ, অপেক্ষা ভোটের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ মার্চ ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন কাল সোমবার। এ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্যানেলগুলোর প্রার্থীরা সবাই বিজয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী গতকাল শনিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে প্রচার-প্রচারণা। গত এক সপ্তাহ ধরে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, প্রগতিশীল ছাত্রজোট, কোটাসহ স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা বিরামহীন প্রচারণা চালিয়েছেন। এখন শুধু ভোটগ্রহণের অপেক্ষা। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম থাকলেই ভোট দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এসএম মাহফুজুর রহমান বলেন, হল আইডি কার্ড নবায়ন করা কোনো বিষয় নয়। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারাই ভোট দিতে পারবে। তবে সে যে ওই হলের ছাত্র তার একটা প্রমাণ সঙ্গে রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে পে-ইন স্লিপ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড রাখাই উচিত।

ডাকসুর ভিপি, জিএস, এজিএসসহ মোট ২৫ পদে ২২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া হল সংসদে ১৮টি হলে ১৩টি করে পদের বিপরীতে প্রার্থী রয়েছেন মোট ৫০৯ জন। বিপরীতে ভোটার ৪২ হাজার ৯২৩ জন। প্রতি ভোটারকে দুটি ব্যালটে ৩৮টি করে ভোট দিতে হবে। কাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এ নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে।

নিয়ম অনুযায়ী ভোটার তালিকা চূড়ান্তের দিন থেকে ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবেন। সে হিসাবে গত ৩ মার্চ থেকে শুরু হওয়া প্রচারণা গতকাল রাত ১২টায় শেষ হয়েছে। এতে প্রার্থীরা সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাত দিন। প্রচারণার শেষ দিন প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের কাছে উপস্থিত হয়ে ভোট চেয়েছেন। এছাড়া ব্যানার আর পোস্টারের মাধ্যমেও প্রচারণা চালিয়েছেন তারা।

সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আমরা মনে করি শিক্ষার্থীরা শোভন-রাব্বানী-সাদ্দাম পরিষদের ওপর আস্থা রেখে ১১ তারিখে ভোট দেবেন।

প্রচারণায় সন্তুষ্ট হতে না পারলেও নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার আশা ছাত্রদলের। এই প্যানেল থেকে জিএস পদে লড়ছেন আনিসুর রহমান অনিক। তিনি বলেন, প্রশাসনকে আমরা বার বার অনুরোধ করেছিলাম সময় বাড়ানোর, তারা তা শোনেনি। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের প্যানেল জয়লাভ করবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদও নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।  এই প্যানেল থেকে ভিপি পদপ্রার্থী নুরুল হক বলেন, সময়টা খুব কম দিয়েছে। আর ক্লাস ক্যাম্পেইন না রাখায় আমরা সবার কাছে পৌঁছতে পারিনি। তবে শিক্ষার্থীরা আমাদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। একই কথা বললেন স্বতন্ত্র জোটের ভিপি প্রার্থী অরণী সেমন্তি খানও।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads