• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯

রাজনীতি

যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আনিস বহিস্কার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১১ অক্টোবর ২০১৯

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ বি এম আমজাদ হোসেন বলেন, শুক্রবার যুবলীগের সভা ছিল। সভায় তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।

তিনি বলেন, সভায় যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন না। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

বর্তমানে রাজধানীর ধানমন্ডির ১০/এ সড়কের এক বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে থাকেন আনিস।

জানা গেছে, এসএসসি পাশ কাজী আনিসুর রহমান যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পিয়ন ছিলেন। ২০০৫ সালে মাত্র ৫ হাজার টাকা বেতনে ওই চাকরি পান তিনি যুবলীগের সাবেক এক সভাপতির হাত ধরে। যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পিয়ন থেকে দপ্তর সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেওয়ার পাশপাশি এখন তিনি ৩০০ কোটি টাকার মালিক।

অফিসের পিয়নের কাজের পাশাপাশি কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন তিনি। এতে করে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি কার্যালয়ে আসা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গেও পরিচয়ের সুযোগ হয় তার। কম্পিউটারে নিয়মিত সারাদেশের সব যুবলীগ কমিটির তালিকা তৈরি করতে গিয়ে সব তথ্য তার নখদর্পণে চলে আসে। মুখস্থ বলে দিতে পারতেন যে কোনো কমিটির নেতার নাম। ২০১২ সালে যুবলীগের নতুন কমিটি গঠনের সময় তিনি নিজেও আনিসকে একটা সদস্যপদ দিতে সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু আনিস পেয়ে যান উপদপ্তর সম্পাদকের পদ। দপ্তর সম্পাদক পদটি শুরু থেকেই খালি ছিল, ছয় মাসের মধ্যেই সেটাও পেয়ে যান। আনিস থাকতেন টিকাটুলী এলাকায়। কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়ার পর ধানমন্ডিতে ভাড়া বাসা খোঁজেন। কিন্তু ভাড়া না নিয়ে ১৫ নম্বর সড়কে প্রায় আড়াই হাজার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনে নেন। এখানেই আছেন প্রায় সাড়ে তিন বছর। বর্তমানে রাজধানীর ধানমন্ডির ১০/এ সড়কের এক বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে থাকেন কাজী আনিস। পাঁচ বছর আগেও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে টিনের ঘরে থাকা আনিসুরের বাড়িতে এখন সুরম্য অট্টালিকা। ময়মনসিংহের ভালুকা, ঢাকার স্বামীবাগ, ইত্তেফাক মোড়, যাত্রাবাড়ী, শুক্রাবাদ, উত্তরায়ও বাড়ি আছে তার। এছাড়া লালমাটিয়া, ঝিগাতলা ও ধানমন্ডিতে আছে কয়েকটি ফ্ল্যাট। উত্তরা, মিরপুর ও গুলশানে মার্কেটে আনিসের নামে আছে দোকান। নারায়ণগঞ্জের একটি চটের মিলেরও মালিক আনিস।

এছাড়া যুবলীগ অফিসের এক পিয়ন ৯০০ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। যুবলীগের শীর্ষ নেতার কোনো কোনো খাত থেকে বা কারা কোটি কোটি টাকা প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এসে দিয়ে যায় তা আনিসের মাধ্যমেই নেতার কাছে পৌঁছে যেত। এ কারণে আনিসকে পিয়ন থেকে দপ্তর সম্পাদকের পদ উপহার দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads