• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
গণফোরামে ভাঙনের সুর

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

গণফোরামে ভাঙনের সুর

নতুন কমিটি দিলেন ড. কামাল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৩ মার্চ ২০২০

গণফোরামের সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা থামছে না, বরং দিন দিন বাড়ছে। ৪ মার্চ থেকে বাহ্যিক রূপ নিয়েছে বিভক্তিরেখা। নেতায় নেতাকে বহিষ্কার করছেন। নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছে, প্রস্তুতি চলছে পাল্টা কমিটিরও। দীর্ঘদিনের গড়া গণফোরামে বাজছে ভাঙনের সুর। সাংগঠনিক বিরোধ গড়াচ্ছে ব্যক্তি পর্যায়ে। দলটির ইমেজধারী নেতা এবং অলংকারদের একে একে বাদ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিবিশেষকে। ফলে দলটির ভবিষ্যৎ হয়ে পড়ছে অন্ধকারাচ্ছন্ন। 

ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও ড. রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে গণফোরাম। দলটির সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ক্রমানুসারে সাংসদ মোকাব্বির খান, আওম শফিকউল্লাহ, অ্যাডভোকেট আবদুল আজিজ, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট এএইচএম খালেকুজ্জামান, অ্যাডভোকেট শান্তিপ্রদ ঘোষ, অ্যাডভোকেট জানে আলম, মেজবাহউদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট সগির আনোয়ার, অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগম, অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর, মোশতাক আহমেদ প্রমুখ।

গত দুই কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ প্রেসিডিয়াম সদস্যদের অধিকাংশই কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটিতে নেই।

নতুন কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। কারণ, এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কমিটি করতে হলে গঠনতান্ত্রিকভাবে কাউন্সিল করতে হবে, মিটিং করতে হবে। তবে আশা করি, ওনার (ড. কামাল  হোসেন) শেষ জীবনে উনি গণফোরামকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখে যাবেন। আগের কমিটি আছে, ওই কমিটি রেখেই কাজ করা হবে বলেও জানান সুব্রত চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, কমিটি ভাঙে আবার কমিটি গড়ে। এটা অপ্রকৃতস্থ।

দলের সাবেক প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক বলেন, ‘কমিটির তালিকা দেখলে বোঝা যাবে যারা গণফোরামের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও সুস্থধারার রাজনৈতিক চর্চা করে আসছিলেন এবং সংগঠনের ভালোর জন্য উচিত কথা বলতেন তাদের এই কমিটিতে রাখা হয়নি। এটা এক ব্যক্তির মনোচিন্তার একটি কমিটি বলে আমি মনে করি। কমিটিতে এমন অনেককে আনা হয়েছে, যারা এই সংগঠনে দীর্ঘ সময় ধরে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। আর সক্রিয় নেতাদের অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে।’

৪ মার্চ পাল্টাপাল্টি কমিটি বহিষ্কারের প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করেন ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘সংগঠনের স্থবিরতা দূর করতে ২৬ এপ্রিল ২০১৯ গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই বিশেষ কাউন্সিল প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গণফোরামের সভাপতি হিসেবে আমি ২০১৯ সালের ৫ মে ঘোষিত গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করছি। পরবর্তী জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত দলের যাবতীয় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দায়দায়িত্ব পালন করার জন্য ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও ড. রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে গণফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করছি। এই কমিটি গণফোরামের গঠনতান্ত্রিক সব ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।’

২০১৯ সালের এপ্রিলে ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ড. রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যা ১০ মাস পর ভেঙে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads