• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আবার চিঠি

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আবার চিঠি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৫ নভেম্বর ২০২১

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে আবারও পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে এ আবেদন করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিএনপির একাধিক প্রভাবশালী নেতা। বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতা আজ সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গণমাধ্যমকে জানান, এদিন সকালের দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে বলতে পারবো না। দুদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় আছি।’

পরে এ বিষয়ে জানতে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলামকে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিএনপির ওই প্রভাবশালী নেতা জানান, এবারও বেগম জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সরকারের ইতিবাচক অবস্থান নেই। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো সম্ভাবনা পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা ও করণীয় নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমান বৈঠকে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা আমাদের জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে মিডিয়ায় কথা বলা নিষেধ রয়েছে।’

এদিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক প্যারামিটারগুলো এখনো আপডাউন করছে। সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শরীরের অবস্থা খুব একটা ভালো নেই। তিনি বলেন, ‘তার ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স হয়েছে।’

এর আগে গত মে মাসে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দর। তখন শামীম ইস্কান্দর জানিয়েছিলেন, ডাক্তাররা তার বোন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেওয়ার পর তারা সরকারের কাছে এই আবেদন করেছেন।

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সরকার খালেদা জিয়ার আবেদনের বিষয়টি ইতিবাচকভাবেই দেখছে। এর আইনগত দিক পরীক্ষা করে দেখার জন্য আবেদনপত্রটি ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোভাবও ইতিবাচক।

গত শুক্রবার রাত থেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন খালেদা জিয়া। এর পরদিন শনিবার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই তাকে কেবিন থেকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘ম্যাডাম এখন সিসিইউতে আছেন। সেখানেই তার চিকিৎসা ও পরীক্ষাগুলো হচ্ছে।’

হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করছেন।

৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

এভারকেয়ার হাসপাতালে ২৬ দিন চিকিৎসা শেষে গত ৭ নভেম্বর বাসায় ফিরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এর পাঁচ দিন পর আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।

২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। মহামারির শুরুতে গত বছর ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত তিনবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads