• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
এমপি একাব্বরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

রাজনীতি

এমপি একাব্বরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

  • মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ নভেম্বর ২০২১

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. একাব্বর হোসেন এমপির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার পৃথক বার্তায় এ শোক প্রকাশ করেন তারা।

শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এদিকে বর্ষীয়ান এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুল রাজ্জাক এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, সব শ্রেণিপেশার মানুষ তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুর দুইটা পাঁচ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন একাব্বর হোসেন।

তিনি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পৌর সদরের পোস্টকামুরী গ্রামের মৃত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে। সে ১৯৫৬ সালের ১২ জুলাই পোষ্টকামুরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

৬৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ গত ১৯ অক্টোবর অসুস্থ হলে তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরদিন সন্ধ্যায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। এরমধ্যেই তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।

রাজনৈতিক জীবনঃ

এমপি একাব্বর হোসেন ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি’র) মহসিন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৭৮ সালে একই শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের তিনবার সভাপতি, জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমটির সভাপতি এবং ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছিলেন।

তিনি টাঙ্গাইল-০৭ মির্জাপুর আসন থেকে টানা ৪ বার- অষ্টম ২০০১, নবম (২০০৮), দশম (২০১৪) ও একাদশ (২০১৮ সালের) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য (এম.পি) নির্বাচিত হন।

তিনি ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে বিএসএস (সম্মান) ও ১৯৭৮ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে ও আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মঙ্গলবার বাদ এশা ধানমন্ডি কেন্দ্রীয় বায়তুল আমান মসজিদে প্রথম নামাজের জানাযা, বুধবার বাদ জোহর মির্জাপুর সরকারি এস.কে.পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের (শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম) মাঠে দ্বিতীয় ও একই দিন বাদ আসর নিজ গ্রাম পোষ্টকামুরী মসজিদে তৃতীয় জানাযা শেষে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads