• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯

রাজনীতি

সার্চ কমিটিতে ইসি গঠন বিতর্ক

রাজনীতিতে ঘনীভূত হচ্ছে সংকট!

  • এম এ বাবর
  • প্রকাশিত ২৫ জানুয়ারি ২০২২

সার্চ কমিটিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন আইন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইসি গঠনে পৃথক আইনের দাবি করলেও বাস্তবে তা উপেক্ষা করছে সরকার। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো বলছে, তড়িঘড়ি করে সংসদে নির্বাচন কমিশন আইন ওঠানোর মধ্যে সরকারের ষড়যন্ত্র রয়েছে। সার্চ কমিটির নামে সরকার তার পকেটের লোকদের দিয়ে যেনতেন নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়। দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো ষড়যন্ত্র করতে চাইলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দলটির।   

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী নির্বাচন পূর্ববর্তী দুই নির্বাচনকেও ছাড়িয়ে যাবে। ইসি গঠন আইন নিয়ে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হবে। কারণ এটি আসলে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন নয়, এটা সার্চ কমিটি গঠনের আইন হয়েছে। সরকার অতীতে যা করেছে, এখন আইনের মোড়কে সব জায়েজ করে নিচ্ছে। ফলে অতীতে যা হয়েছে, এবারো তাই হবে। এদিকে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুল উল আলম হানিফ দাবি করেন, সরকারকে বিব্রত করতেই বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের বিরোধিতা করছে। বিএনপি নিজেরাও জানে না, তারা কখন কী চায়। নির্বাচন কমিশন আইন ইস্যুতে সরকারকে বিব্রত করাই বিএনপির লক্ষ্য।

গতকাল রাজধানীর বকশী বাজারে নবকুমার ইনস্টিটিউটে ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহীদ মতিউর রহমানের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বলেন, সপ্তাহ খানেক আগেও বিএনপি বলেছিল, সরকার চাইলে এই অধিবেশনেই আইন পাস করতে পারে। এখন আইনমন্ত্রী যখন সংসদে আইন তুললেন, তখন বলল তড়িঘড়ি করা হয়েছে। যেকোনো ইস্যুতে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য।

এর আগে গত রোববার বিএনপির বিরোধিতা উপেক্ষা করে বহুল আলোচিত ইসি গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাবিত আইন জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। ২০১২ এবং ২০১৭ সালে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতি ইসি নিয়োগ করেছিলেন, সে প্রক্রিয়াই আইনের অধীনে আনা হচ্ছে এই বিলের মাধ্যমে। ইসি গঠন আইনে সার্চ কমিটির মাধ্যমে এর আগে গঠিত সব নির্বাচন কমিশনের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কমিটির কাজ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে।  

২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। ২০১৭ সালে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই কমিশন গঠন করা হয়েছিল। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির আগেই নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের নাম চূড়ান্ত করতে হবে। আর এই ইসির অধীনে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। তাই এই ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা ও সমালাচনার তৈরি হয়েছে। যদিও বিএনপি এখনো নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনঢ়। এর আগে তার চায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশন আইন।

নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য বিগত ৫০ বছরে কোনো সরকারই আইন প্রণয়ন করেনি। ফলে আইনি ভিত্তির মাধ্যমে কোনো কাঠামো ও বাধ্যবাধকতা না থাকায় ইসি গঠনে স্থায়ী সমাধানের জন্য স্বাধীন নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে কোনো আইন না থাকায় দেশে তৃতীয়বারের মতো ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ইসি গঠন নিয়ে ২০১১ সালে প্রথম সংলাপ শুরু করেন প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান।

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন রাষ্ট্রপতি। এতে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলসহ (জাসদ) মোট ২৪টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেন। তবে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ ৮টি রাজনৈতিক দল। সংলাপে অংশ না নেওয়া অন্যান্য দলগুলো হলো- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), এলডিপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।

এবারের সংলাপে রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন ও স্বাধীন, নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ইসি গঠনের দাবি জানিয়েছে প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দল।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির বিজভী বলেন, হঠাৎ তড়িঘড়ি করে সংসদে নির্বাচন কমিশন আইন ওঠানোর মধ্যে সরকারের ষড়যন্ত্র রয়েছে। বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকারের পাস করা নির্বাচন কমিশন আইন প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে। সরকার তার পকেটের লোকদের দিয়ে সার্চ কমিটি করে তাদের দিয়ে আবারো ক্ষমতায় থাকার পত সহজ করতে চায়। তাই যেনতেন করে কোনো নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় থাকার সরকারের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ বলেন, সার্চ কমিটি বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠন মূখ্য নয়। মূখ্য হলো সরকারের ভূমিকা। যারা সরকারে থাকেন তারা যদি কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেন এবং সহযোগিতা করেন তাহলে তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারেন। আর এজন্য প্রয়োজন নিরপেক্ষ সরকার। আওয়ামী লীগ তো সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ বা কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা তুলে দিয়েছে। তারা তো কাজ করবেন দলীয় সরকারের অধীনে। তাই নির্বাচন কমিশন আইনকে ক্ষমতায় আসার অস্ত্র হিসেবে সরকার ব্যবহার করবে। 

তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী যে আইনটি উত্থাপন করেছেন এই আইনে অতীতে দুটি নির্বাচন কমিশনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে। এ আইন প্রশ্নবিদ্ধ। এতে বর্তমান সংকটের কোনো সমাধান হবে না। তাই আইনটি প্রত্যাহার করা উচিত। নইলে এ আইন নিয়ে দেশে রাজনৈতিক সংকট তৈরির পথ সৃষ্টি হতে পারে। 

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন প্রশ্নে প্রস্তাবিত আইন অতীতের নীলনকশার আইনি বৈধতা দেওয়া ছাড়া আর কিছু নয়। এ আইনে জনস্বার্থে বা গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা পূরণের নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে না। ধ্বংসপ্রাপ্ত নির্বাচন ব্যবস্থা থেকে উত্তরণে একটি শক্তিশালী দক্ষ, সৎ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের অনিবার্যতা প্রস্তাবিত আইনে প্রতিফলিত হয়নি। এখনই নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ও নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা অর্থাৎ জাতীয় সরকার গঠন নিয়ে জরুরিভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যমত্য স্থাপন করতে হবে। তা নাহলে রাষ্ট্র ক্রমাগতভাবে সংকটগ্রস্ত হতে থাকবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আরো একটি অনুগত নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করতেই সরকার জাতীয় সংসদে নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত বিল উত্থাপন করেছে। নির্বাচন কমিশন বিলে অতীতের সব সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় অন্যায় ও অপরাধমূলক কাজকে দায়মুক্তির প্রস্তাব অনৈতিক ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থি।

বিতর্কিত বিল প্রত্যাহার করে সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী উত্থাপিত এই বিলে বস্তুত সরকারের পছন্দের সার্চ কমিটিকে আইনি পোশাক পরানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বিল নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচনকেন্দ্রিক গভীর সংকটের কোনো সমাধান করবে না, বরং সামগ্রিক সংকট আরও ঘনীভূত করবে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে জনগণের আস্থা তলানিতে পৌঁছেছে। সাধারণ মানুষ যদি সঠিকভাবে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে না পারে, তাহলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না, জবাবদিহিতা থাকে না। দেশের মানুষ চায়, এক দিনের জন্য হলেও ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে পালাক্রমে রাবার স্ট্যাম্প বানিয়েছে। নির্বাচন কমিশন রাবার স্ট্যাম্প হলে কেউ আর নির্বাচনে যাবে না।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইনের খসড়া অনুযায়ী সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত নামগুলো কারো জানার সুযোগ নেই। এতে স্বচ্ছতার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এর চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে যে প্রক্রিয়ায় এটি প্রেসিডেন্টের কাছে যাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। আমাদের প্রস্তাব ছিল, সার্চ কমিটির দেওয়া নামগুলো প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি সংসদীয় কমিটিতে আলোচনার পর প্রেসিডেন্টের কাছে গেলে তা গ্রহণযোগ্য হতো।  কিন্তু তা না করে আইনটি সংসদে উত্থাপন করা হচ্ছে। এতে করে আইনটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, বর্তমান সরকার কী ধরনের সার্চ করবে সেটা আগে থেকেই অনুমেয়। তারা সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীলদের খুঁজে পাবে। তাছাড়া কোন ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হচ্ছে আমরা জানব না। হঠাৎ দেখা যাবে ৫ জনের নামে নির্বাচন কমিশন কমিশন গঠন হবে। 

ড. শাহদীন মালিক বলেন, সারা বিশ্বে কর্তৃত্ববাদী সরকারের বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে তারা এমনভাবে নির্বাচনি খেলা করে যেন তারা জয়ী হয়। এর প্রথম ধাপ পছন্দের নির্বাচন কমিশন গঠন করা। এটা এ আইনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে। নির্বাচন নিয়ে যে খেলা হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে সরকারি দল যেন জেতে- সেটাই মনে হচ্ছে। সন্দেহ পোষণ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যেন জয়ী হয়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য এ আইন হচ্ছে। ছলচাতুরি করার জন্য এ আইন বেছে নিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল মতিন বলেন, আইনটি যে গুড মোটিভ নিয়ে করা হচ্ছে- এরকম কোনো নজির দেখছি না। রাখঢাক করে এ আইন করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে আগের মতোই ইলেকশন করা।

সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সরকার কারো সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে আইন করেছে তাদের মতো করে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য। সার্চ কমিটি গঠন করে লাভ হবে না। কারা নির্বাচন কমিশনার হবেন- তা এরই মধ্যে লিস্টেড (তালিকাভুক্ত) হয়ে গেছে। সার্চ কমিটি সুপারিশ করলেও তারা কমিশনার হবেন, না করলেও তারাই হবেন।

তিনি বলেন, সরকার রকিব উদ্দিন ও হুদা কমিশনকে বৈধতা দিয়েছে খসড়া আইনের মাধ্যমে। এটা অবিশ্বাস্য ও কল্পনাতীত। যেখানে তাদের দায়বদ্ধ করা দরকার, নাগরিকরা তাদের দায়বদ্ধ করার জন্য রাষ্ট্রপতির শরণাপন্ন হয়েছিলেন সেটা না করে তাদের নিয়োগে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। তাদের দায়বদ্ধ করা উচিত।

সুজন সম্পাদক আরো বলেন, এটি আসলে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন নয়, এটা সার্চ কমিটি গঠনের আইন হয়েছে। এটাতে অতীতে যেরকম হয়েছে আবারো সেরকমই হবে। এই পদ্ধতি হলো নিষ্ফল পদ্ধতি। এই পদ্ধতির ভিশন হলো- নুরুল হুদা কমিশন আর রকিব উদ্দিন কমিশন। আবারো সেই একই হবে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, কোনো আইন করতে হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ এবং অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে তা করা দরকার। সংসদে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করার দাবি রাখে। কিন্তু সেই বাস্তবতা তো আর নেই। খণ্ডকালীন আইন করে আসলে কোনো লাভ হবে না। আর সরকার স্থায়ী আইনের মধ্য দিয়ে কোনো সমাধানে যাবে বলেও মনে হয় না। নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ আইন নেই। সংবিধান আইন করার কথা বলে দিয়েছে। কিন্তু তা করা হয়নি।

তিনি বলেন, সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইনে খসড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন এবং আইনটি পাস করার জন্য সংসদে উত্থাপনের পেছনে ভিন্ন কারণ রয়েছে। এ আইনের মাধ্যমে যে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ হবে, তা অতীতের দুটি নির্বাচন কমিশনের মতোই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন আয়োজন করবে। মূলত বর্তমান সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার জন্য নিজের পছন্দের লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন সাজাতে এই ত্রুটিপূর্ণ আইন করেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads