• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

খেলা

প্রত্যয়ী যমজ বোন

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২২ এপ্রিল ২০১৮

লন্ডন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ শেষে ট্র্যাক ইভেন্টকে না বলে মো. ফারাহ ক্যারিয়ার গড়েছেন ম্যারাথনে। জেসিকা এনিস-হিল অবসরে চলে গেছেন ২০১৬ সালে। তবে অ্যাথলেটিকসকে বিদায় জানানোর আগে হেপটাথলনে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক স্বর্ণপদকের সঙ্গে যোগ করেন রিও অলিম্পিক রৌপ্য। ব্রিটেনের দুই তারকার ফেলে যাওয়া শূন্য জায়গা পূরণ করতে এগিয়ে এসেছেন ২১ বছরের দুই যমজ তরুণী। দেশের হয়ে অ্যাথলেটিক্স ক্যারিয়ারে ছিনিয়ে নিতে চান সোনার হরিণ নামক সাফল্য। দু’জনেই মনে করছেন, জন্মভূমির হয়ে এগিয়ে যাওয়ার এখনই সঠিক সময়। আর সামনে এগোনোর পথে বাধা হয়ে দেখা দেওয়া সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দৃঢ়প্রত্যয়ী স্প্রিন্টার শ্যানন হিল্টন ও চেরিস হিল্টন।

মো. ফারাহ ও জেসিকা এনিসের অনুপস্থিতিতে ব্রিটেনকে পদক উপহার দিতে চান ২০০ মিটারে ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়ন শ্যানন। সে লক্ষ্যে এখনই এগিয়ে যেতে চান বিশ্ব অ্যাথলটিক্সে অংশ নেওয়া এই উদীয়মান তারকা অ্যাথলেট, ‘মো. ফারাহ ট্র্যাক ছেড়েছেন। জেসিকা এনিস-হিল চলে গেছেন অবসরে। তাই এবার সময় হয়েছে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার। এবং সময় হয়েছে দেশের জন্য পদক ছিনিয়ে নেওয়ার।’

সময় বদলে যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে রঙ পাল্টাচ্ছে অ্যাথলেটিক্স। এই পরিবর্তন আর উন্নয়নের সঙ্গে তাল মেলাতে চান শ্যানন, ‘প্রতিবছরই অ্যাথলেটিক্সে উন্নতি ঘটছে। তাই প্রত্যেক অ্যাথলেটের সামনে বেছে নেওয়ার সুযোগ আছে, এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি উন্নতির সঙ্গে তাল মেলাবে। বিষয়টা প্রত্যেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।’

যমজ বোনের সুরে কথা বললেন চেরিসও, ‘অ্যাথলেটিক্সে নাম লিখিয়ে শিহরিত হওয়ার সময় এখন। আমাদের অনেক তরুণ অ্যাথলেট উঠে আসছে। গত বছরের বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে মিলেছে তার প্রমাণ। সদ্য শেষ হওয়া কমনওয়েলথ গেমসে তা ফের চোখে পড়ল। নিজেদের সামর্থ্যের সাক্ষ্য রাখার অসাধারণ এক প্লাটফর্ম এটি।’

গুরু রায়ান ফ্রেকল্টনের কাছে দীক্ষা নিচ্ছেন দুই যমজ বোন। তার কোচিংয়ে দেশের হয়ে সিনিয়র লেভেলে প্রথমবারের মতো একই সঙ্গে দু’জনে অংশ নেবেন। এ লক্ষ্যে ঘাম ঝরিয়ে যাচ্ছেন তারা। আগস্টে বার্লিনে হতে যাওয়া ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ব্রিটেন দলে থাকতে চান শ্যানন ও চেরিস। দু’জনের দৃষ্টিতে আছে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক। তবে একই ইভেন্টে দু’জনে অংশ নিতে চান না। এ নিয়ে শ্যানন বলেন, ‘আমার মতে, ‘এটা চেরিসকে সহায়তা করবে। আমরা একই আসরে থাকলেও একই ইভেন্টে থাকছি না। একই ইভেন্টে থাকলেও যে আমাদের পারফরম্যান্সে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে তা কিন্তু নয়।’

জুনিয়র লেভেলে শ্যানন-চেরিস একই সঙ্গে লড়লেও সিনিয়র লেভেলে আর একসঙ্গে লড়তে চান না। কারণ আলাদা হয়ে ইভেন্টে অংশ নেওয়াতে অভ্যস্ত হতে চান দু’জনে। ভিন্ন লোকজনের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে উন্মুখ হয়ে আছেন তারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads