• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯

ফুটবল

হ্যাটট্রিক ফাইনালে রিয়াল

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৩ মে ২০১৮

ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে সোনালি অতীত আবার ফিরিয়ে এনেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ১৯৬০-এর দশকে টানা পাঁচবার ইউরোপিয়ান কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এবার চ্যাম্পিয়নস লিগে সেটির কথা স্মরণ করিয়ে দিল। একবিংশ শতাব্দীতে প্রথম দল হিসেবে টানা তিনবার ফাইনাল নিশ্চিত করল। মঙ্গলবার সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে। তাতে দুই লেগ মিলে ৪-৩ গোলে এগিয়ে থেকে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের টিকেট কাটে।

বায়ার্ন মিউনিখ এবারো স্প্যানিশ-ভূত ছাড়াতে পারেনি। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে প্রতিবারই স্পেনের ক্লাবগুলোর কাছে হেরে নক আউট পর্ব থেকে বিদায় নেয়। ২০১৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদ, ২০১৫ সালে বার্সেলোনা ও ২০১৬ সালে আটলেটিকো মাদ্রিদ শেষ চারে জার্মান ক্লাবটিকে বিদায় করে দেয়। ২০১৭ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে হারে রিয়ালের কাছে। ২০১৩ সালের কোচ জুপ হেইঙ্কেসের অধীনে এবার ইতিহাসের মোড় পরিবর্তনের সুযোগ খোঁজে। সেটাও সম্ভব হলো না। ঘরের মাঠে প্রথম লেগে এগিয়ে থেকেও ১-২ গোলে হারে। দ্বিতীয় লেগেও এগিয়ে যায়। কিন্তু গোলরক্ষক উলরিচের ভুলে ও রেফারির পেনাল্টি না দেওয়ার সিদ্ধান্তে এবারো ফাইনালের আগে বিদায় নেয় লেভানডস্কিরা।

চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এর আগে দুটি দল টানা তিনবার করে ফাইনাল খেলার রেকর্ড গড়ে। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার ফাইনাল খেলে এসি মিলান। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ফাইনাল খেলার রেকর্ড গড়ে জুভেন্টাস। তবে ইতালিয়ান ক্লাব দুটি একবার করে শিরোপা জেতে। বাকি দু’বার ফাইনালে হেরে যায়।

রিয়াল মাদ্রিদ গত মৌসুমেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে টানা দু’বার শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়ে। আগামী ২৬ মে ইউক্রেনের কিয়েভে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হলে রেকর্ডটি বর্ধিত করবে জিদানের শিষ্যরা।

সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে জয়ের জন্য মরিয়া ছিল বায়ার্ন মিউনিখ। দলের সেরা দুজন তারকা ইনজুরির কারণে মাঠে নামতে না পারলেও সেটা সতীর্থরা বুঝতে দেননি। রিয়ালের মাটিতে এসেও ৬০ শতাংশ বল দখলে রাখে। লক্ষ্যে স্বাগতিকরা তিনটি শট নিলেও সেখানে বায়ার্ন শট নেয় ১০টি। পাসও নেয় বেশি।

ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় মিউনিখের ক্লাবটি। তোলিসোর ক্রস থেকে আসা বল রিয়াল ডিফেন্ডার ও অধিনায়ক সার্জিও রামোস সরিয়ে দিতে পারেননি। গোলপোস্টের সামনে বলটি পেয়ে কেইলুর নাভাসকে পরাস্ত করেন কিমিচ। তাতে অষ্টম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউট পর্বে রিয়ালের বিপক্ষে দুই লেগেই গোল করার কৃতিত্ব দেখান তিনি।

তাদের লিড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আট মিনিট পর মার্সেলোর ক্রস থেকে আসা বল হেড করে জালে জড়িয়ে দেন করিম বেনজেমা। বিরতিতে যাওয়ার আগে ডি-বক্সের মধ্যে মার্সেলোর হাতে বল লাগলে পেনাল্টির আবেদন জানান বায়ার্নের খেলোয়াড়রা। কিন্তু এ যাত্রায়ও বেঁচে যায় রিয়াল।

বিরতি থেকে ফিরে আসার মিনিটেই জার্মান ক্লাবটি পিছিয়ে পড়ে। তোলিসোর ব্যাক পাস ধরা বা পাস দেওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান  গোলরক্ষক উলরিচ। ফলে বলটি আর ফেরাতে পারেননি। দৌড়ে গিয়ে সেটি জালে জড়িয়ে দেন বেনজেমা।

খেলার ৬৩ মিনিটে রিয়ালের জালে বল জড়িয়ে দেন জেমস রদ্রিগেজ। নিজের মূল ক্লাবের বিপক্ষে গোল করেও উদযাপন করেননি ধারে বায়ার্নে খেলতে যাওয়া কলম্বিয়ান ফুটবলার। এই গোলের পর আর কোনো গোল না হওয়ায় সমতায় ম্যাচটি শেষ হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads