• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
আবেগঘন বিদায় বুফনের

বিদায় বেলায় বুফন কাঁদছেন, কাঁদছেন জুভেন্টাস সমর্থকরাও।

ছবি : ইন্টারনেট

ফুটবল

আবেগঘন বিদায় বুফনের

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২১ মে ২০১৮

তুরিনের অ্যালিয়েঞ্জ স্টেডিয়ামের সব দর্শক দাঁড়িয়ে যান। করতালির মাধ্যমে অভিবাদন জানান। অনেকের চোখের কোণে অশ্রু। কেউ কেউ কান্না চেপে রাখতে পারেননি। তাদের মুখমণ্ডলে মনের গভীরের হাহাকার ভেসে ওঠে। চোখের চাহনি ভালোবাসা ব্যক্ত করে। যার জন্য এমন হাহাকার ও ভালোবাসা তিনি জিয়ানলুইজি বুফন। জুভেন্টাসের গোলরক্ষক। ভক্তদের ভালোবাসার প্রতিদানে তিনিও মুখে হাসি ধরে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু অশ্রুজল আটকাতে পারেননি। এ অশ্রু ভালোবাসার, আনন্দের ও দীর্ঘ ১৭ বছরের বন্ধন ছিন্ন করার।

বুফনের বিদায়টি সুখকরই হলো। তার দল টানা সপ্তমবারের মতো সিরি এ-তে চ্যাম্পিয়ন হলো। বিদায়ী ম্যাচে তিনি কোনো গোল হজম করেননি। যদিও তার মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার পর ভেরোনা একটি গোল করে। তবে জুভেন্টাস জয় পায় ২-১ গোলে।

এদিন জুভেন্টাসের হাতে সিরি এ’র ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। সেটি নিয়ে উন্মুক্ত বাসে শহর প্রদক্ষিণ করেন খেলোয়াড়রা। সমর্থকদের সঙ্গে শিরোপা উদযাপন করেন। আর এই উদযাপনের কেন্দ্রে ছিলেন ৪০ বছর বয়সী গোলরক্ষক বুফন।

কয়েক দিন আগেই বুফন ঘোষণা দেন যে, মৌসুম শেষে জুভেন্টাস থেকে বিদায় নেবেন। শনিবার রাতেই ছিল তার সেই বিদায়ী ম্যাচ। ভেরোনার বিপক্ষে এই ম্যাচের ৬৪ মিনিটে একে একে মাঠের সব খেলোয়াড়কে জড়িয়ে ধরেন। দর্শকদের উদ্দেশে বার বার হাত নাড়েন। কারো কারো সঙ্গে হাত মেলান। অতপর সবাইকে কাঁদিয়ে মাঠ থেকে বিদায় নেন ২০০৬ বিশ্বকাপ জয়ী তারকা।

২০০১ সালে জুভেন্টাসের হয়ে অভিষেক হয় বুফনের। সেই থেকে ইতালিয়ান জায়ান্টদের গোলবারের নিচের ভরসার পাত্র। ক্লাবটির হয়ে মোট ৫০৯টি ম্যাচ খেলেন। অবশেষে বিদায় নিলেন। তবে তিনি অবসরের ঘোষণা দেননি। কোন ক্লাবে যোগ দেবেন, সেটিও স্পষ্ট করেননি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads