• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
বাফুফেকে নিয়ে চক্রান্ত!

বাদল রায়কে হুমকি দিয়ে বাফুফের বেতনভুক্ত একজন কর্মচারী দৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ করেছেন

সংরক্ষিত ছবি

ফুটবল

বাফুফেকে নিয়ে চক্রান্ত!

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০১ আগস্ট ২০১৮

জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি বাদল রায়কে হুমকির অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে ওয়ারি থানায় সাধারণ ডায়রি করেছিলেন বাদল রায়ের স্ত্রী মাধুরী রায়। গত মে মাসে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ওই ঘটনাটি শেষ পর্যন্ত গড়ায় বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের টেবিল পর্যন্ত। বিষয়টি সেখানেই সুরাহা হয়ে গিয়েছিল। এরপর অনেক দিন কোনো রা নেই কারো মুখে। হঠাৎ করেই সাবেক ফুটবলাররা একত্রিত হয়ে শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোহাগের অপসারণের দাবি তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সোহাগকে অপসারণ করা না হলে বৃহৎ আন্দোলনেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে। সাবেক তারকা ফুটবলারদের এ হুমকিকে দেশের ফুটবলের জন্য চক্রান্ত হিসেবেই দেখছেন ফুটবল সংগঠকরা।

এদিকে দুই মাস আগেই এ ঘটনার সুরাহা হয়ে গেছে বলে দাবি অভিযুক্ত আবু নাঈম সোহাগের। তিনি বলেন, ‘আমি বাদল রায়কে হুমকি দেইনি। এ বিষয়ে তারা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। বাদল রায় আমাদের সহসভাপতি। তার চেয়ে বড় বিষয়, তিনি এ দেশের ফুটবলের কিংবদন্তি। তার মতো একজন তারকা ফুটবলারকে হুমকি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। যা হয়েছে সেটা একটা ভুল বুঝাবুঝি।’

ফুটবল সংগঠকদের দাবি, ‘মীমাংসিত একটি বিষয় নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টায় লিপ্ত কিছু মানুষ। গত জুন মাসে বাফুফে ভবনে বসে বাদল রায়ের উপস্থিতিতে বাফুফের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম মুর্শেদী বিষয়টির একটি সমাধান করেছেন। এখন সে বিষয় নিয়ে এভাবে প্রকাশ্যে কথা বলা মোটেও সমীচীন নয়।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাফুফের নির্বাহী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘দুই মাস নীরবতা পালন করে হঠাৎ করেই একটা পক্ষ আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে। এটা আসলে দেশের ফুটবলের জন্য গভীর চক্রান্ত।’

এর আগে শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাসানুজ্জামান খান বাবলু আবু নাঈম সোহাগের অপসারণ দাবি করে বলেন, ‘ফুটবলের সোনালি দিনের তারকা ফুটবলার বাদল রায়কে হুমকি দিয়ে বাফুফের বেতনভুক্ত একজন কর্মচারী দৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ করেছেন। এটা ক্ষমার অযোগ্য। এভাবে একজনকে অসম্মান করবে আর আমরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকব না। সোহাগকে ছাঁটাই না করলে আমরা সাবেক ফুটবলাররা সবাই একত্রিত হয়ে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাব।’ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, প্রতাপ শঙ্কর হাজরা, আশরাফ উদ্দিন চুন্নু, হাসানুজ্জামান খান বাবলু, শেখ মোহাম্মদ আসলাম, কায়সার হামিদ প্রমুখ।

সাবেক ‍ফুটবলার ইমতিয়াজ সুলতান জনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এটা বাদল রায়ের একার অপমান নয়, আমাদের সবার অপমান। তাই এত ফুটবলার আজ একসঙ্গে।’ সোহাগের আচরণে জাতীয় দলের সাবেক কোচ গোলাম সরোয়ার টিপুও ভীষণ ক্ষুব্ধ, ‘বাদলের সঙ্গে এই ঘটনা ফুটবলারদের জন্য একটা বড় ধাক্কা। আমরা খেলোয়াড়রা আহত। ফুটবল ফেডারেশনের বিভিন্ন কমিটিতে যেসব খেলোয়াড় আছেন, তারা একটু সহানুভূতি বা সম্মান দেখালেও সান্ত্বনা পাওয়া যেত।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads