এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের সফলতা বলতে তেমন কিছু নেই। ক্রিকেটে গত আসরে স্বর্ণ জয় করেছিল লাল-সবুজরা। এর বাইরে আছে একটি রৌপ্যপদক। সেটি এসেছিল মহিলা কাবাডির হাত ধরে। ইন্দোনেশিয়ায় আগামী ১৮ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া গেমসে ক্রিকেট ইভেন্ট এবার আর নেই। স্বর্ণপদকের আশা তাই কমে গেছে অনেকটাই। মহিলা কাবাডিকে ঘিরে এবারো ভালো কিছুর সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশ।
সম্ভাবনাময় ইভেন্ট হিসেবে এবার দেখা হচ্ছে আরচারিকেও। গত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরচাররা একের পর এক স্বর্ণপদক জয় করে প্রত্যাশার বেলুনটা বেশ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলেছেন। আসন্ন এশিয়াডে আরচারি ফেডারেশনের লক্ষ্য কোয়ার্টার ফাইনাল। শেষ আটে নাম লেখাতে পারলেই নিজেদের লক্ষ্য পূরণ হবে বলে জানালেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহম্মেদ চপল।
এবারের এশিয়াডে বাংলাদেশের ১৩ জন আরচার অংশ নেবেন। রিকার্ভ বিভাগে চার পুরুষ, তিন মহিলা; কম্পাউন্ডে তিনজন করে পুরুষ ও মহিলা অংশ খেলবেন। দলের সঙ্গে দুই কোচ হিসেবে যাচ্ছেন মার্টিন ফ্রেডরিক ও জিয়াউল হক।
আসন্ন এশিয়ান গেমসকে সামনে রেখে গতকাল দুপুরে ফেডারেশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চপল বলেন, ‘এদেশে আরচারির উত্তরণটা সবাই দেখতে পাচ্ছেন। দক্ষিণ এশিয়ান আরচারিতে এ বছর আমরা ছয়টি স্বর্ণপদক জিতেছি। ইসলামিক সলিডারিটি গেমসেও ভালো করেছি। এশিয়ান গেমসেও আমাদের আর্চারদের উন্নতি দেখা যাবে আশা করি। আমাদের প্রত্যাশা জাকার্তা এশিয়াডে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা। এর চেয়ে বেশি কিছু এখন বললে আমার খেলোয়াড়রা চাপে পড়ে যাবে। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলে ওইদিনের পারফরম্যান্সে যেকোনো কিছুই ঘটে যেতে পারে।’