• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
দারুণ খেলেও কষ্টের হার

ফিলিপাইনের কাছে হেরে গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবেই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে খেলতে হচ্ছে স্বাগতিক বাংলাদেশকে

সংগৃহীত ছবি

ফুটবল

দারুণ খেলেও কষ্টের হার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ অক্টোবর ২০১৮

ফিলিপাইনের কাছে হেরে গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবেই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে খেলতে হচ্ছে স্বাগতিক বাংলাদেশকে। গতকাল ১-০ গোলের হারের কারণে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন তাজিকিস্তান অথবা ফিলিস্তিনির মুখোমুখি হতে হবে লাল-সবুজদের।

আর টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে ফিলিপাইন। কাল সিলেটে হারলেও দর্শকদের মন জয় করেছে বাংলার দামাল ছেলেরা। পুরো ম্যাচে ছিল আধিপাত্য। ছোট ছোট পাসে নান্দনিক ফুটবল খেলে ফিলিপাইনকে চাপের মুখেই রেখেছিল পুরো ৯০ মিনিট। ভাগ্য সহায় ছিল না বলে ম্যাচে জয় পায়নি বাংলাদেশ।

সেমিফাইনালটা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল স্বাগতিক শিবিরের। তাই শেষ চারের লড়াইকে সামনে রেখে একাদশে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছিলেন কোচ জেমি ডে। রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তিটা পরখ করার জন্যই কাল চারটি পরিবর্তন আনা হয়েছিল। ইনজুরির কারণে মাঠে নামা হয়নি নিয়মিত অধিনায়ক মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া ও ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়ছালের। আর বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ এবং আক্রমণভাগের হাতিয়ার মাহবুবুর রহমান সুফিলকে। তপু বর্মণের সঙ্গে কাল রক্ষণ সামলানোর দায়িত্ব ছিল সুশান্ত ত্রিপুরা ও রহমত মিয়ার কাঁধে। আর আক্রমণভাগে নামানো হয়েছিল তৌহিদুল আলম সবুজকে। মধ্যমাঠে ছিলেন ইমন মাহমুদ। ইনজুরির কারণে দলে না থাকায় অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পড়ে তপু বর্মণের ওপর। কিন্তু আগে দেওয়া প্লেয়ার লিস্টে কাপ্তান হিসেবে নাম ছিল মামুনুল ইসলামের। ম্যাচের আগে ওয়ার্মআপও করতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু টিম যখন মাঠে নামে তখন তাকে মাঠে কিংবা ডাক আউটে দেখা যায়নি। নতুন দেওয়া প্লেয়ার লিস্টে পরিবর্তিত প্লেয়ার হিসেবেও নাম ছিল না তার। এ নিয়ে দেখা দেয় সন্দেহ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা জানান, অধিনায়কত্ব নিয়ে সমস্যার কারণেই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

র্যাংকিংয়ের ১১৪ নম্বরে থাকা ফিলিপাইনের বিরুদ্ধেও কাল ৪-৪-২ ফরমেশনে টিম মাঠে নামান জেমি ডে। আক্রমণাত্মক ধারাতেই খেলতে থাকেন। ম্যাচের চার মিনিটেই আক্রমণের সুফলও পেতে বসেছিল টিম বাংলাদেশ। কিন্তু প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক মাইকেল কেসাস হতাশ করেন মাঠে ছুটে আসা হাজার পঁচিশেক দর্শককে। রহমতের লম্বা থ্রু থেকে বক্সের ভেতরে দাঁড়ানো তপুর ব্যাকহেড ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিহত করেন গোলবারের মাইকেল কেসাস। ফিরতি বলে নাবীব নেওয়াজ জীবন হেড নিলে সেটি ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। এরপরও দমে যায়নি স্বাগতিকরা। পরিকল্পিত আক্রমণে চাপে রেখেছিল প্রতিপক্ষ দলকে। কিন্তু ২৪ মিনিটে ডিফেন্ডার তপু বর্মণের ভুলের মাশুল গুনতে হয় লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। মাইকেল দানিয়েলসের নেওয়া শট তপুর পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন হয়ে জালে প্রবেশ করে (১-০)। গোলরক্ষক আশরাফুল লাইনেই ছিলেন। ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকা বাংলাদেশের আরো একটি আক্রমণ নস্যাৎ করেন গোলরক্ষক মাইকেল কেসাস। রবিউলের কর্নার সরাসরি জাল স্পর্শ করার ঠিক আগ মুহূর্তে ফিলিপাইনের গোলরক্ষক ফিস্ট করেন। কাল যেন বাংলাদেশ দলের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন গোলবারের এ অতন্দ্র প্রহরী।  

দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠেছিল জেমি ডে’র শিষ্যরা। বেশ কয়েকবার ফিলিপাইনের ভিতও কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তপু, বিপলু, জীবনরা। এ অর্ধের পুরোটা সময়েই রক্ষণাত্মক ভূমিকায় দেখা যায় সফরকারীদের। ৭০ মিনিটে তো গোলের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেন জীবন। ডানদিক থেকে তৌহিদুল আলম সবুজের আলতো চিপে দৌড়ে এসে দারুণ এক হেড নেন জীবন। কিন্তু বল জাল খুঁজে পায়নি। দুই মিনিট বাদেই আরো একবার গোলবঞ্চিত হয় সবুজের লক্ষ্যহীন শটের কারণে। ম্যাচের শেষ মিনিটেও মতিন, তপু আর ইব্রাহিমদের আক্রমণ জটলার মধ্যে ঘুরপাক খেলেও ফিলিপাইনের জালে প্রবেশ করেনি। কপাল মন্দ হলে যা হয়, ঠিক তাই হলো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads