• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

সাফ অনুর্ধ্ব-১৫ ফুটবলের সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে ভারতকে ৪-২ গোলে হারানোর পর বাংলাদেশী কিশোরদের বাঁধভাঙা উল্লাস

সংগৃহীত ছবি

ফুটবল

ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০২ নভেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশ সিনিয়র দল আন্তর্জাতিক ফুটবলে একের পর এক ব্যর্থ হলেও ছোটরা আশার আলো দেখাচ্ছেন। সাফল্য পেতে শুরু করেছেন কিশোররা। টানা দুই জয়ের পর অধিনায়ক মেহেদী হাসান বলেছিলেন, ‘ভারত শক্তিশালী দল। আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। গ্রুপে মালদ্বীপ ও নেপালের বিপক্ষে জিতেছি, আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আশা করি ভারতের বিপক্ষে জিতে ফাইনালে যাব।’ মেহেদীর কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ভারতকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।

নেপালের কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্স স্টেডিয়ামে বেলা পৌনে ১১টায় শুরু হয় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার প্রথম সেমিফাইনাল। ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র থাকে। এরপর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জয় পায় লাল-সবুজের দলটি। কাল ৩ নভেম্বর শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

প্রথমার্ধে মোটামুটি ভালো খেললেও পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ দল। ম্যাচের ১৭ মিনিটে পাত্রি হারসে শৈলেষের গোলে এগিয়ে যায় ভারত। পিছিয়ে পড়ে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। প্রথমার্ধের ৩৭ মিনিটে বাংলাদেশ গোল পরিশোধের সুযোগ পেলেও সফল হয়নি। নাজমুল আহমেদের শট ভারতের গোলবারের সামান্য ওপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়।

বিরতির পর বাংলাদেশের আক্রমণের ধার আরো বেড়ে যায়। ৫৮ মিনিটে ইবনে আহাদ শাকিলের কর্নারে সতীর্থের হেড সাইডবারের পাশ দিয়ে গেলে সুযোগ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। ৭৩ মিনিটে একজনের শট তো ভারতের গোলরক্ষক কোনোভাবে রুখে দেন। বার বার আক্রমণ চালিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হওয়ার পর স্বস্তির পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। ইনজুরি সময়ের তৃতীয় মিনিটের ওই পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরানো গোল এনে দেন নিহাত জামান উচ্ছ্বাস। তাতে নির্ধারিত সময় শেষ হয় ১-১ গোলে। আর টাইব্রেকারে দারুণ দক্ষতা দেখান বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান। তাতে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সেমিফাইনালের আগে প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপকে ৯-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখায়। গ্রুপের শেষ ম্যাচে নেপালকে ২-১ ব্যবধানে হারায় ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া বাংলাদেশ। আর সেমিফাইনালে এই অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী ভারতকে বিদায় করে আরো কৃতিত্ব দেখাল কিশোর দল। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের জালে ১২ বার বল জড়িয়েছে, বিপরীতে হজম করেছে মাত্র ২টি। অপরদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-১ গোলের হার ও ভুটানকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ভারত ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের কাছে হেরে ভারতের শিরোপা জেতার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হলো।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে জাতীয় দল ভালো করতে না পারলেও সাফল্য পাচ্ছে বয়সভিত্তিক দলগুলো। কিশোরীদের পাশাপাশি সাফল্য বয়ে আনছেন কিশোর ফুটবলাররাও। তবে বিশেষ করে সাফ অঞ্চলে এই সাফল্য চোখে পড়ার মতো। মৌসুমী, মারিয়া, সানজিদারা সাফে একের পর ট্রফি জিতেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ কিশোর ফুটবলের ফাইনালে উঠে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন মোস্তফা আনোয়ার পারভেজ বাবুর শিষ্যরা। এবার শিরোপা জিতে সাফল্যের ষোলোকলা পরিপূর্ণ করতে চায় বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads