• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
রোজা রেখে খেলছেন তারা

সংগৃহীত ছবি

খেলা

রোজা রেখে খেলছেন তারা

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০২১

রমজান মাসে চলছে ইউরোপের ঘরোয়া ফুটবল লিগের পাশাপাশি আকর্ষণীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এসব ম্যাচে অনেক তারকা ফুটবলার রোজা রেখেই খেলছেন। ইফতারের সময় ম্যাচ চলাকালীন সাইড লাইনে গিয়ে পগবার পানি পান করে রোজা ভাঙার দৃশ্যটি সারা বিশ্বে আলোচিত ও সমাদৃত হয়েছে। চেলসির ফরাসি ফুটবলার এনগোলো কান্তেও রোজা রেখে ম্যাচ খেলেছেন।

রমজানের মধ্যেই ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় লেগ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনে তিনটি করে ম্যাচ চলছে। তীব্র গরম এবং ম্যাচের চাপের জন্য অনেকে রোজা রাখতে পারছেন না। আবার এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও রোজা রাখছেন অনেক দেশি ও বিদেশি ফুটবলার। রেলিগেশন জোনে অবস্থান ব্রাদার্স ইউনিয়নের। দ্বিতীয় লেগে দ্বিতীয় ম্যাচটি ব্রাদার্সের ছিল বিকেল ৪টায় ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচে ব্রাদার্সের উজবেক ফুটবলার ফোরকাত ও গাম্বিয়ান ফুটবলার মামুদু বাহ রোজা রেখেই খেলেছেন।

উজবেক ফুটবলার ফোরকাত রোজা রেখে খেলায় কোনো সমস্যা বোধ করেননি বলে জানান, একজন মুসলিম হিসেবে রোজা পালন করা আমাদের দায়িত্ব। পেশাদার ফুটবলার হিসেবে খেলাও দায়িত্ব। আমি দুটি দায়িত্ব ভালো মতো পালন করছি। তার সতীর্থ মামুদু বাহ বাংলাদেশে খেলছেন কয়েক বছর যাবৎ। বাংলাদেশের ফুটবলে মাঝে মধ্যে রোজায় খেলা পড়ে। তার রোজার মধ্যে খেলার অভ্যাস রয়েছে, আমি এর আগেও বাংলাদেশে রোজা রেখে খেলেছি। এবারও খেলেছি।

ব্রাদার্সের দ্বিতীয় লেগের দুটি ম্যাচ রাত ৯টায় ছিল। রোজা পালনের পর ইফতার শেষে ক্লান্তি ভর করে। ইফতারের পর রাত ৯টায় খেলতে কোনো সমস্যা মনে করেন না বাহ, ইফতারের পর দুই ম্যাচ খেলেছি। পারফরম্যান্সে কোনো সমস্যা হয়নি। মোহামেডানে চার বিদেশির মধ্যে তিন জন মুসলিম। মালিয়ান সুলেমান দিয়েবাতে ম্যাচের দিন রোজা রাখতে পারছেন না। দ্বিতীয় লেগে মোহামেডানের তিনটি ম্যাচেই বিকেল ৪টায় এটি রোজা রাখার অন্তরায় মনে করছেন তিনি, ইউরোপের ফুটবলারদের অনেকে রাখতে পারছেন কারণ সেখানে আবহাওয়া এখানকার মতো গরম না। এই গরমে বিকেল চারটায় রোজা রেখে ম্যাচ খেলা খুবই কঠিন। ম্যাচের দিন রোজা রাখতে না পারলেও ম্যাচের পরের দিন ঠিকই রোজা রাখছেন তারা। মোহামেডানের ক্যামেরুনের ইয়াসেন বলেন, আমরা তিনজন ম্যাচের পরের দিন রোজা রাখি। কোচের নির্দেশে ম্যাচের দিন ও আগের দিন রোজা রাখি না যাতে পানিশূন্যতায় না হয়। মোহামেডানের ম্যাচ রাত ৯টায় হলে রোজা রাখতে পারতেন বলে মনে করেন সুলেমান, আমাদের তিনটি ম্যাচই বিকেলে পড়েছে। এ জন্য কঠিন হয়েছে রোজা রাখাটা। সন্ধ্যা ৭টায় বা রাত ৯টায় ম্যাচ হলে ওই দিন আমি রোজা রাখতাম।

৩০ এপ্রিল লিগ পুনরায় শুরু হয়েছে। লিগ শুরুর আগে ঢাকা আবাহনীর অধিকাংশ ফুটবলার রোজা ছিলেন বলে জানান ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু, ৩০ এপ্রিল লিগ শুরু হওয়ার দুই তিন আগ পর্যন্ত আমাদের প্রায় ১৫ জনের মতো ফুটবলার রোজা রেখেই অনুশীলন করেছে। এখন অবশ্য রোজা রাখতে পারছে না অনেকে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads