• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯

আজকের পত্রিকা

রাজিবের চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে দুই বাস কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ

  • প্রকাশিত ০৫ এপ্রিল ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কারওয়ানবাজারে দুই বাসের পাল্লাপাল্লির শিকার সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজিব হোসেনের বিচ্ছিন্ন হাতের চিকিৎসার ব্যয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিসি) ও স্বজন পরিবহনের মালিককে বহন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন এই আদেশ  দেন।

একই সঙ্গে রুল জারি করে রাজিব হোসেনকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে কলেজে যাওয়ার পথে কাওরানবাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা বিআরটিসির একটি বাসকে ওভারটেক করার সময় স্বজন পরিবহনের দ্রুতগতির একটি বাস রাজিবের হাতের একাংশ ছিঁড়ে নিয়ে যায়। পথচারীরা রক্তাক্ত রাজিবকে উদ্ধার করে নিকটস্থ শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হাতের অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রাজিবের বিচ্ছিন্ন হাত জোড়া লাগাতে পারেননি। তবে রাজিবের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তারা। 

এ ছাড়া রুলে যাত্রী পরিবহনে বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে কার্যকরের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি লাগাম টানতে প্রয়োজনে আইন সংশোধন ও নতুন বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারসহ আট বিবাদীকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল এই রিট আবেদনটি করেন। সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

আমাদের মেডিকেল প্রতিবেদক জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজিবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। শাহবাগ থানার ওসি জানিয়েছেন, ওই দুর্ঘটনায় জড়িত বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদ ও স্বজন বাসের চালক খোরশেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

হতভাগ্য রাজিবের মামা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাজিবের এমন দুর্ভাগ্যজনক পরিণতির জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না।’ তিনি আরো জানান, রাজীবের বাবা-মা বেঁচে নেই। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবার বড়। পড়ালেখার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার টাইপ করে সে নিজের এবং ছোট দুই ভাইয়ের খরচ চালাত।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads