• বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪২৯

দুর্ঘটনা

ফ্লাইট রক্ষণাবেক্ষণে ছিল অনিয়ম

‘ব্ল্যাকবক্সে’র সন্ধান নেই ইউএস-বাংলার কাছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ মার্চ ২০১৮

নেপালে সোমবার ইউএস-বাংলার ফ্লাইট দুর্ঘটনা নিয়ে সিভিল অ্যাভিয়েশনের একজন সিনিয়র প্রকৌশলী জানান, ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০ উড়োজাহাজগুলো তৈরি হয় সাধারণত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য। এ ধরনের ফ্লাইট আন্তর্জাতিক রুটে চলার ব্যাপারে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির আপত্তি রয়েছে বলে জানা যায়। বিমান দুর্ঘটনার অন্যতম আলামত ‘ব্ল্যাক বক্স’-এর সন্ধান সম্পর্কে তাদের কিছু জানা নেই বলে জানান ইউএস-বাংলার জেনারেল ম্যানেজার কামরুল ইসলাম।

ফ্লাইটটি প্রচণ্ড শব্দ করে কাঁপার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানের ওই প্রকৌশলী বলেন, এর প্রধানতম কারণ হতে পারে ‘ইলেকট্রনিক প্রবলেম’। সঠিকভাবে ইঞ্জিন বিদ্যুৎ না পাওয়ার কারণেই সেটি কাঁপতে পারে এবং একপর্যায়ে পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারান। তারা ফ্লাইটগুলোর মোটেও রক্ষণাবেক্ষণ করেন না। নিয়ম হলো কোনো ফ্লাইট ৭২ ঘণ্টা আকাশে ওড়ার পর হ্যাঙ্গারে নিয়ে ‘এ চেক’ করাতে হয়। কিন্তু তাদের তো কোনো হ্যাঙ্গারই নেই।

ইউএস-বাংলার জেনারেল ম্যানেজার কামরুল ইসলাম গত রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, তারা আন্তর্জাতিক রুটের অনুমোদন নিয়েই অপারেট করেন। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছেন। ফ্লাইটটি সাধারণত অবতরণ করার কথা রানওয়ের (২নং প্ল্যাটফর্ম) দক্ষিণ পাশ দিয়ে। কিন্তু গতকাল পাইলট উত্তর দিক থেকে অবতরণ করতে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় প্রচণ্ড শব্দে ফ্লাইটটি কাঁপছিল। তাদের টেকনিক্যাল টিম ঘটনাস্থলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তিনি জানান।

কী আছে ব্ল্যাকবক্সে : বিমান দুর্ঘটনার বিষয়টি এখন তদন্ত করে দেখবে ‘ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি’। তারা দেখবে দুর্ঘটনার আগে এবং সেই মুহূর্তে পাইলট কী কী কথোপকথন চালিয়েছেন। তার সকল রেকর্ড রয়েছে ব্ল্যাকবক্সে। ব্ল্যাকবক্সটি রাত ৮টা পর্যন্ত কী অবস্থায় আছে তা জানাতে পারেননি ইউএস-বাংলার জেনারেল ম্যানেজার কামরুল ইসলাম। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, ব্ল্যাকবক্সটি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে কিনা তা আমরা জানতে পারিনি। পাইলট ককপিট থেকে ঢাকার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল এবং ত্রিভুবন এয়ারপোর্টে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে কী কী আলাপ করেছেন তা ব্ল্যাকবক্সে রেকর্ড রয়েছে। টেকনিক্যাল টিম প্রস্তুত আছে সেখানে যাওয়ার জন্য। কিন্তু বিশেষ কারণে তাদের যাত্রা দেরি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির মিডিয়া কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ কী তা আমরা এখন বলতে পারব না। তদন্ত শেষে মন্তব্য করব।’

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads