• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯

দুর্ঘটনা

১৭ বছরে ৭ বার হাত বদল

বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়েছিল সৈয়দপুরেও

  • সাজ্জাদুল ইসলাম নয়ন
  • প্রকাশিত ১২ মার্চ ২০১৮

ইউএস বাংলার বিমানটি আগেও দুর্ঘটনায় পড়েছিল। ২০১৫ সালে সৈয়দপুরে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে দুর্ঘটনাকবলিত এই বিমান। আহত হয় ১০ যাত্রী।

অ্যাভিয়েশন নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে এমন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেবছর ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ৭৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে যায় ইউএস বাংলার বোম্বারডায়ার ড্যাশ-৮ বিমানটি। বিমানবন্দরের সিগন্যালে ত্রুটি থাকায় বিমানটি সেদিনও যেদিক থেকে অবতরণের কথা ছিল তা না করে উল্টো দিক দিয়ে অবতরণ করে। এতে পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারালে বিমানটি রানওয়ের বাইরে ছিটকে পড়ে এবং সামনের চাকা নরম মাটিতে দেবে যায়। চাকাগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্রিভুবনেও বিমানটি একই রকম ভুল করে, যেদিক থেকে অবতরণের কথা ছিল সেদিক থেকে না নেমে পাইলট উল্টো দিক থেকে প্লেনটি অবতরণ করে।

‘আন্তর্জাতিক বিমান চিহ্নিতকরণ’ সূত্র মতে বোম্বারডায়ার ড্যাশ-৮ বিমানটি ১৭ বছর ২ মাসের পুরনো। ডি হ্যাভাল্যান্ড কানাডার এ বিমান ২ ইঞ্জিন বিশিষ্ট প্রপেলার চালিত। ইউএস বাংলায় যুক্ত হওয়ার আগে এ বিমানটি ৭ বার বিভিন্ন এয়ারলাইনসে হাতবদল হয়। ৬ দফা রেজিস্ট্রেশন হয় বিভিন্ন নামে।

বিমানটি প্রস্তুত হওয়ার পর ২০০১ সালের এপ্রিল মাসে এটি প্রথম কিনেছিল বোম্বারডায়ার ক্যাপিটেল এয়ারলাইনস। ঠিক পরের মাসেই এটি ভাড়ায় নিয়ে নেয় এসএএস স্কেন্ডিনেভিয়ান এয়ারলাইনস। এর দেড় বছর পর এটি আবার ফেরত আসে বোম্বারডায়ার ক্যাপিটালের কাছে। এরপর ২০০৫ সালের অক্টোবরে আবার ভাড়া নেয় রয়েল জর্ডানিয়ান এয়ারলাইনস। সেখানে চলে ৩ বছর। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে বিমানটি ফেরত আসে বোম্বারডায়ারের কাছে। সে বছর মে মাসে বিমানটি আবার ভাড়া নেয় অক্সবার্গ এয়ারওয়েজ। ওই বিমান সংস্থার কাছ থেকে ২০১৪ সালের মে মাসে বিমানটি আসে ইউএস বাংলায়। ১৭ বছর ধরে যান্ত্রিক ত্রুটিসহ বিভিন্ন কারণে বিমানটি বেশ বড় সময় ধরে গ্রাউন্ডেড ছিল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads