• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
রাখাইনে হিন্দু গ্রামে হামলায় নিহত শতাধিক

রোহিঙ্গাদের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হিন্দু গ্রামে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে

বিবিসি

এশিয়া

রাখাইনে হিন্দু গ্রামে হামলায় নিহত শতাধিক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৪ মে ২০১৮

মিয়ানমারের সংঘর্ষপ্রবণ রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী কয়েকটি হিন্দু গ্রামে বেপরোয়া হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মানবাধিকার সংস্থাটির নতুন এক রিপোর্টে বলা হয়, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) গত ২৬ আগস্ট কয়েকটি হিন্দু গ্রামে হামলা চালিয়ে নারী শিশুসহ শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। খবর বিবিসির।

সংস্থাটির কর্মকর্তা তিরানা হাসান এক বিবৃতিতে জানান, ‘এআরএসএ’র বর্বরতা এড়িয়ে যাওয়া কষ্টকর। হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বক্তব্যে তা ফুটে উঠেছে।’ হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এক হিন্দু নারী আহ নউক খা মাউঙ সেইক বলেন, ‘তারা পুরুষদের জবাই করেছে। আমাদেরকে তাদের দিকে তাকাতে বারণ করা হয়। তাদের হাতে ছুরি, লোহার রড এবং কোদাল ছিল। আমার বাবা, চাচা, ভাই সবাইকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।’ রিপোর্টে আরো বলা হয়, একটি গ্রামে হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪৫ ব্যক্তির মরদেহ চারটি গণকবরে মাটিচাপা দেওয়া হয়। পার্শ্ববর্তী বাউক খায়ের গ্রামে আরো ৪৬ জনকে হত্যা করা হয়।

অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যের সকল রোহিঙ্গাকেই হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। যে কারণে এআরএসএ বর্বরোচিত কায়দায় হিন্দু গ্রামগুলোতে হত্যাকাণ্ড চালায়। এ সময় অনেক হিন্দু ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে জীবন বাঁচায় বলেও সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়। যদিও গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে এমন দাবি অস্বীকার করা হয়েছে।

২০১৭ সালের আগস্টে এআরএসএ সদস্যরা রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানো শুরু করে। ওই হামলার প্রেক্ষিতে দেশটির নিরাপত্তারক্ষীরা সার্বিকভাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা চালানো শুরু করে। আইনবহির্ভূত হত্যা, ধর্ষণ, গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া, জোরপূর্বক না খাইয়ে রাখার মতো অত্যাচার করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। গত আগস্ট থেকে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য ছেড়ে পালিয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads