• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
অর্থ উদ্ধারে মামলার পর এবার সমঝোতা

রিজার্ভ চুরি

প্রতীকী ছবি

ব্যাংক

রিজার্ভ চুরি

অর্থ উদ্ধারে মামলার পর এবার সমঝোতা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ মার্চ ২০১৯

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে মামলা করার পর এবার ফিলিপাইনের বিবাদীদের সঙ্গে সমঝোতা করে অর্থ ফেরত পাওয়ার চেষ্টা চালাবে বাংলাদেশ। এজন্য আইনজীবী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি দল আগামী সপ্তাহে ফিলিপাইন যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কৌঁসুলি আজমালুল হোসেন কিউসি।

নিজেও এই দলে রয়েছেন জানিয়ে এই আইনজীবী সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের আইনি লড়াই চলছে। নিউইয়র্ক ফেডারেল কোর্টে মামলা শুরু করে দিয়েছি। আগামী ২ এপ্রিল মামলার ডেট আছে। তার আগে যারা এই মামলার বিবাদী পক্ষ আছে, তাদের সাথে আলোচনায় বসতে যাচ্ছি। সমঝোতার মাধ্যমে যাতে বিষয়টির সম্মানজনক সমাধান হয়, সেজন্যই আলোচনায় বসতে যাচ্ছি।

আজমালুল বলেন, আমি এবং বাংলাদেশের কয়েকজন আইনজীবী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ফিলিপাইন যাচ্ছি। আগামী সপ্তাহে আমরা ফিলিপাইন যাব। যাওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে আলোচনায় বসে সমঝোতার মাধ্যমে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনা। তিন বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের খোয়া যাওয়া সাড়ে ৬ কোটি ডলার উদ্ধারে গত ১ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের ম্যানহাটন সাদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ফিলিপাইনের এই বেসরকারি ব্যাংকটির কাছে এর আগেও অর্থ ফেরতের দাবি জানানো হয়েছিল, কিন্তু সাড়া মেলেনি। এখন মামলা তাদের ওপর চাপ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।

সমঝোতার উদ্যোগ কাদের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে আজমালুল বলেন, উদ্যোগ বাংলাদেশ নিয়েছে। তাছাড়া অপর পক্ষের অনেকেই আলোচনায় বসতে আগ্রহী।

আলোচনায় টাকা ফেরত পাওয়া যাবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো আশা করছি, আমাদের সব টাকাই ফেরত পাওয়া উচিত। এখন সেটা আইনি লড়াইয়ে পাব, নাকি মধ্যস্থতা-সমঝোতা করে পাব, সেটাই এখন বিষয়।

ফিলিপিন্সে যাওয়ার আগে ১০ মার্চ নিজেদের মধ্যে বসে আলোচনার কৌশল ঠিক করবেন বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কৌঁসুলি।

১১ ও ১২ মার্চ মামলার বিবাদী, ফিলিপাইনের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিভাগীয় বিচারক, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ইউনিটের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবে প্রতিনিধিদলটি।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (ফেড) রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে একটি মেসেজের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।

বাকি চারটি মেসেজের মাধ্যমে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেওয়া হয় ফিলিপাইনের মাকাতি শহরে রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায় ‘ভুয়া তথ্য’ দিয়ে খোলা চারটি অ্যাকাউন্টে।

অল্প সময়ের মধ্যে ওই অর্থ ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া হয়, ফিলরেম মানি রেমিট্যান্স কোম্পানির মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রা পেসোর আকারে সেই অর্থ চলে যায় তিনটি ক্যাসিনোর কাছে।

এর মধ্যে একটি ক্যাসিনোর মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে দেওয়া হলেও বাকি অর্থ উদ্ধারে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads